গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি: আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গাইবান্ধার ৫টি সংসদীয় আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাওয়ার লড়াইয়ে নেমেছেন অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা, শিক্ষক, চিকিৎসক, সাবেক সরকারি কর্মকর্তা, উপজেলা চেয়ারম্যান, জেলা পরিষদ সদস্য ও সাবেক পৌর মেয়র, সাবেক সংসদ সদস্যদের স্ত্রী ও স্বজনেরা।
২/১ টি আসনের বর্তমান সংসদ সদস্যদের চিন্তা বাড়িয়েছেন এসব আগ্রহী প্রার্থীরা। বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করলে দলীয় প্রতীক নৌকা পেলেই সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়া অনেক সহজ হবে- এমনটাই মনে করছেন অনেক মনোনয়ন প্রত্যাশী।
দলের মনোনয়ন পেতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন অনেকেই। গাইবান্ধার ৫টি সংসদীয় আসনের মধ্যে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৪টি আসনেই জয়ী হয়েছিলেন
আওয়ামী লীগের প্রার্থী। একটি আসনে নির্বাচিত হয়েছিলেন জাতীয় পার্টির ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী।
গাইবান্ধার ৫টি আসনের বিপরীতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে ৫২টি মনোনয়ন ফরম ক্রয় করা হয়েছে। নৌকার বৈঠা ধরতে হাই কমান্ডে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন।
গাইবান্ধা জেলা আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক সাইফুল আলম সাকা বলেন, গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনে ১০ জন, গাইবান্ধা-২ (সদর) আসনে ৭ জন, গাইবান্ধা-৩ (পলাশবাড়ী-সাদুল্লাপুর) আসনে ১৩ জন, গাইবান্ধা-৪ (গোবিন্দগঞ্জ) আসনে ১৪ জন ও গাইবান্ধা-৫ (সাঘাটা-ফুলছড়ি) আসনে ৮ জন আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ ও জমা দিয়েছেন।
গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনে নৌকার বৈঠা ধরতে ১০ জন দলের মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করে জমা দিয়েছেন।
তারা হলেন- সুন্দরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রয়াত সংসদ মঞ্জুরুল ইসলাম লিটনের বোন মিসেস আফরুজা বারী, সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. আশরাফুল আলম সরকার লেবু, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সৈয়দা মাসুদা খাজা, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও প্রয়াত সাংসদ মঞ্জুরুল ইসলাম লিটনের স্ত্রী সৈয়দা খুরশিদ জাহান স্মৃতি, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আশরাফুল ইসলাম রঞ্জু, উপাধ্যক্ষ মো. আব্দুল হান্নান সরকার, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও প্রয়াত সংসদ সদস্য গোলাম মোস্তফার পুত্র মো. মেহেদী মোস্তফা মাসুম, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মো. আখতারুজ্জামান আকন্দ শাকিল, জেলা পরিষদ সদস্য মো. এমদাদুল হক নাদিম এবং মো. মতিউর রহমান সালু।
গাইবান্ধা-২ (সদর) আসনে নবম, দশম ও একাদশ জাতীয় সংবাদ নির্বাচনে মাহাবুব আরা বেগম গিনি আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে বিপুল ভোটে নির্বাচিত হন।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মাহাবুব আরা বেগম গিনির পাশাপাশি জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি এ্যাডভোকেট সৈয়দ শামস উল আলম হিরু, সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মোজাম্মেল হক মন্ডল, সহ-সভাপতি ফরহাদ আব্দুল্লাহ হারুন বাবলু, সহ সভাপতি ও গাইবান্ধা পৌরসভার সাবেক মেয়র শাহ মাসুদ জাহাঙ্গীর কবির মিলন, সাংগঠনিক সম্পাদক ও সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শাহ সারোয়ার কবীর এবং সাংগঠনিক সম্পাদক ও ঘগোয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. আমিনুর জামান রিংকু গাইবান্ধা-২ আসনের মনোনয়ন দৌড়ে রয়েছেন।
গাইবান্ধা-৩ (সাদুল্লাপুর-পলাশবাড়ী) আসনে নৌকার মাঝি হতে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী ১৩ জন।
তারা হলেন- বর্তমান সংসদ সদস্য ও কৃষকলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট উম্মে কুলসুম স্মৃতি, পলাশবাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি উপাধ্যক্ষ মো. শামিকুল ইসলাম সরকার লিপন, জেলা আওয়ামী লীগ সদস্য ও পলাশবাড়ী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব একেএম মোকছেদ চৌধুরী বিদ্যুৎ, পলাশবাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. তৌহিদুল ইসলাম মন্ডল, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. মাহমুদুল হক, বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর (অব.) মো. মফিজুল হক সরকার, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য এ্যাডভোকেট মো. জরিদুল হক, আওয়ামী যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সম্পাদক মো. আজিজুর রহমান সরকার, সাদুল্লাপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আলহাজ্ব মো. সাহারিয়া খান বিপ্লব, সাদুল্লাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ (অব.) মো. জাকারিয়া খন্দকার, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সহকারী অধ্যাপক সহীদুল্যাহেল কবির ফারুক, আজিজার রহমান বিএসসি এবং জেলা পরিষদ সদস্য ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক অধ্যক্ষ এসএম আব্দুর রহমান।
গাইবান্ধা-৪ (গোবিন্দগঞ্জ) আসনে নৌকার কান্ডারি হতে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন জমা দিয়েছেন ১৪ জন।
তারা হলেন- বর্তমান সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রকৌশলী মো. মনোয়ার হোসেন চৌধুরী, সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়মী লীগের সদস্য অধ্যক্ষ মো. আবুল কালাম আজাদ, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আতাউর রহমান সরকার, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. আব্দুল লতিফ প্রধান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মোকাদ্দেস আলী প্রধান বাদু, স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য মো. নাজমুল হাসান লিটন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এ্যাডভোকেট ইবনে আজিজ মো. নুরুল হুদা ফরহাদ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক প্রধান আতাউর রহমান বাবলু, ঢাকা বিদ্যুৎ বিতরণ কর্তৃপক্ষের সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শাহজাহান সিরাজ, জেলা স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) সাবেক সাধারণ সম্পাদক ডা. মো. শাহজাহান আলী সরকার, বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা সভাপতি অধ্যক্ষ এ কে এম
আব্দুর নূর, এম এ শামীম, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. নুরুল ইসলাম প্রধান এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সদস্য মো. কামরুল হাসান ফাহিয়ান।
গাইবান্ধা-৫ (সাঘাটা-ফুলছড়ি) আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য ও ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সাবেক সভাপতি মাহমুদ হাসান রিপন, ফুলছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জিএম সেলিম পারভেজ, সাধারণ সম্পাদক ও প্রয়াত ডেপুটি স্পিকার এ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বী মিয়ার মেয়ে ফারজানা রাব্বী বুবলি, সাঘাটা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ্যাডভোকেট সামশীল আরেফিন টিটু, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মো. মাহবুর রহমান লিটল, গাইবান্ধা জেলা আওয়ামী লীগের উপ- প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক উম্মে জান্নাতুল ফেরদৌস শাপলা, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. আল মামুন এবং সাঘাটা উপজেলা যুবলীগের সদস্য সুশীল চন্দ্র সরকার নৌকার মাঝি হতে চান।
এবি/এইচএন