নিজস্ব প্রতিবেদক: আওয়ামী লীগ সরকার গণতন্ত্রকে এমন পরিস্থিতির মধ্যে নিয়ে যেতে চায় যে গণতন্ত্র বলে এদেশে আর কিছু থাকবে না উল্লেখ করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, গণতন্ত্র এখন গোরস্থানে।
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৪৩তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে মোহাম্মদপুরে ঢাকা মহানগর উত্তর স্বেচ্ছাসেবক দলের খাবার বিতরণ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
রিজভী বলেন, প্রতিকূল পরিবেশের মধ্যে বসবাস করতে হচ্ছে। যারা সত্য কথা বলবেন তাদেরকে যেতে হয় কারাগারে। তাদেরকেই নিপীড়নের শিকার হতে হয়। মানুষ নির্ভয়ে কোনো কথা বলতে পারে না। এ পরিস্থিতির মধ্যে দিনাতিপাত করতে হচ্ছে এদেশের মানুষদের।
বিএনপির এই নেতা বলেন, আমাদের অনেক নেতাকর্মী হারিয়ে গেছে। তারা কোথায় আছে কেউ জানে না, তাদের পরিবারও জানে না। এভাবে অসংখ্য গুম করে, জনগণকে ত্যাজ্য করে ভোটারদের দূরে সরিয়ে রেখে নির্বাচনী প্রহসনের মাধ্যমে ডামি সরকার, দখলদার সরকার ক্ষমতায় আছে।
তিনি আরও বলেন, আজকে সারাদেশের মানুষ মনে করে প্রধানমন্ত্রীসহ সরকারের মন্ত্রীরা যে কথা বলেন তার চার পয়সাও দাম নেই, কারণ তারা একটাও সত্যি কথা বলেন না। এক বিভীষিকাময় পরিবেশের মধ্যে গোটাদেশ। গরিব মানুষ তাদের ফসলি জমি বিক্রি করে সন্তানকে বিদেশে পাঠাচ্ছেন ভালোভাবে বসবাস করার আসায়, বিদেশ থেকে রেমিটেন্স পাবার আশায়। ১৭ থেকে ১৮ হাজার শ্রমিক যেতে পারেনি। তারা গরিব মানুষকে আরও গরিব করে দিতে চায়। কারণ কেউ যাতে রুখে দাড়াঁতে না পারে।
বিএনপি নেতা রিজভী বলেন, প্রতিদিন জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে। আলুর দাম একমাস আগে ৩০টাকা ছিল। এখন ৫৫ থেকে ৬০ টাকা হয়েছে। এক হালি ডিম ৫৫ টাকা, পাড়া মহল্লার মধ্যে ৬০টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এক ডজন ডিমের দাম ১৬০টাকা। সরকার যদি নির্বাচিত না হয় জনগণের ভোটে না হয় তাহলে সে সরকার জনগণের স্বার্থ চিন্তা করে না, কল্যাণ কামনা করে না। তারা চিন্তা করে তারা কীভাবে টাকা পাচার করবে, কীভাবে তারা জনগণের টাকা লুট করবে।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্বেচ্ছাসেবকবিষয়ক সম্পাদক মীর শরাফত আলী সপু, নির্বাহী কমিটির সদস্য আমিনুল ইসলামসহ স্থানীয় নেতাকর্মীরা।
এবি/এইচএন