মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় আওয়ামী লীগ নেতা গজারিয়া ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা শফিউল্লাহ শফিকে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের শিক্ষারর্থীরা আটক করে পুলিশে দিয়েছে। গতরাত (২৪ ডিসেম্বর) ঢাকার মুগদার বাসা ঘিরে ফেলে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের লোকজন। নানা নাটকীয়তার পর মধ্যরাত আনুমানিক ২ টার দিকে তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেয় শিক্ষার্থীরা।
গ্রেফতারের ঘটনা নিশ্চিত করেছেন তার স্ত্রী উম্মে হালিমা। তিনি জানান, গত মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ১২টার দিকে কিছু লোকজন আমাদের বাসা ঘিরে ফেলে। পরে নানা নাটকীয়তার পর রাত আনুমানিক আড়াইটার সময় তাকে (আমার স্বামী)পুলিশের হাতে তুলে দেয় লোকজন। তার নামে কোন মামলা ছিল না। এক বছর যাবত তিনি ব্রেন স্ট্রোক করে রীতিমতো শয্যাশায়ী এবং শারীরিকভাবে অসুস্থ। তবে কি কারণে তাকে গ্রেফতার করা হলো তা তিনি জানেন না বলেও জানান।
জানা যায় তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি ও জেলা আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন। প্রথমে আওয়ামী রাজনীতিতে মুন্সিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ'র অনুসারী হিসেবে রাজনীতি করেন। পরে তিনি আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক ও মুন্সিগঞ্জ-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এড.মৃণাল কান্তি দাস'র সাথে রাজনীতি করেন। তাছাড়া উপজেলা আওয়ামী রাজনীতিতে তার ব্যাপক প্রভাব ছিল। আওয়ামী লীগের রাজনীতির সুবাদে একে একে দুই বার ইউপি চেয়ারম্যান বনে যান।
তবে এ বিষয়ে গজারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম জানান বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের লোকজন গতরাতে তার ঢাকার বাসা মুগদা হতে আটক করে। পরে মুগদা থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। সেই থানা থেকে মুন্সিগঞ্জ সদর থানার পুলিশের কাছে পাঠানো হয়। তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
আমারবাঙলা/ ইউকে