নিজস্ব প্রতিবেদক: কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার শ্রীমন্তপুর গ্রামের কৃষকরা পটল চাষ করে তাদের ভাগ্যের চাকা ঘুরিয়েছেন। উপজেলা কৃষি বিভাগ থেকে পটল চাষের উপর প্রশিক্ষণ নিয়ে ওইসব দরিদ্র সংসারে স্বচ্ছলতা এসেছে।
বিগত কয়েক বছর আগে ওই সব জমিগুলোতে কোন প্রকার চাষাবাদ হতো না এবং কৃষকদের অভাব অনটন লেগেই থাকতো।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে, চান্দিনা উপজেলায় ৭৫ হেক্টর জমিতে পটলের চাষাবাদ হচ্ছে। উপজেলা কৃষি অফিস হতে বীজ, সার দিয়ে কৃষকদের ধানের পাশাপাশি সবজি চাষে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে।
পটল চাষিরা জানান, প্রতি শতাংশ জমিতে পটল চাষে শ্রেণীভেদে ৮০০ থেকে ১ হাজার টাকা খরচ পড়ছে এবং উৎপাদিত পটল বিক্রি করে খরচ বাদ দিয়ে ৩ হাজার থেকে ৪ হাজার টাকা আয় হয়।
কৃষক তোফাজ্জল হোসেন জানান, এবার তিনি ১৫ কাঠা জমিতে পটল চাষ করেছেন। চার মাস পটলের জমি পরিচর্যায় গাছে ফল আসতে শুরু করে। এই ১৫ কাঠা জমি আবাদে তিনি এখন পর্যন্ত ২০ হাজার টাকা খরচ করেছেন। এ পর্যন্ত ৬০ হাজার টাকা পটল বিক্রয় করে ক্যাশ জমিয়েছেন। আগামীতে আরো ১ মাস এমনিভাবে ফসল তুলে বিক্রয় করতে পারবেন বলে জানান।
তিনি জানান, প্রতি সপ্তাহে এই জমি হতে ২-৩ মন পটল তুলেন। এখন যতই দিন যাবে ততই আরো বেশী ফসল তুলবেন। প্রতি কেজি পটল তিনি ২৫-২৮ টাকা কেজি দরে বিক্রি করেন। সামনের দিনে পটলের দাম আরো বাড়বে ফলে আরো বেশী লাভবান হবে বলে জানান।
শ্রীমন্তপুর গ্রামের পটল চাষি মনির হোসেন জানান, এক সময় তাদের সংসারে অভাব-অনটন লেগেই থাকতো। কিন্তু বর্তমানে পটল চাষ করে তার সংসারে স্বচ্ছলতা ফিরে এসেছে। তাদের ৬৬ শতক জমিতে পটল চাষ করে খরচ হয়েছে ৪০ হাজার টাকা। স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে এ পটল বিক্রি করে প্রায় ৯৫ হাজার টাকা আয় করেছেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোছা. আফরিনা আক্তার বলেন, কৃষকদের অর্থনৈতিকভাবে লাভবানে জন্য সরকারের পক্ষ হতে নিরাপদ সবজি চাষে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে।
উপজেলায় অনেক জায়গায় কৃষকরা পটল চাষ করে লাভের মুখ দেখছে। আগামীতে অত্র উপজেলায় পটলের আবাদ বেড়ে যাবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।
এবি/এইচএন