সাতক্ষীরার শ্যামনগরে কৃষিতে ক্ষতিকর কীটনাশক ও রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহার হ্রাসকরণের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সুন্দরবন স্টুডেন্ট সলিডারিটি টিম, সবুজ সংহতি, যুব স্বেচ্ছাসেবী সমন্বয় কমিটি ও বেসরকারি উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান বারসিক এর যৌথ আয়োজনে মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন সবুজ সংহতির আহ্বায়ক কুমুদ রঞ্জন গায়েন।
উল্লেখ্য, ১৯৮৪ সালের ২-৩ ডিসেম্বের রাতে ভারতের মধ্যপ্রদেশের ভোপাল শহরে ইউনিয়ন কার্বাইড ইন্ডিয়া লিমিটেড নামে একটি পেস্টিসাইড কারখানায় ভয়াবহ রাসায়নিক দূর্ঘটনা সংঘটিত হয়েছিল যা ভোপাল বিপর্যয় বা ভোপাল গ্যাস ট্র্যাজেডি নামে পরিচিত। এটি এখনও পর্যন্ত বিশ্বের সবচেয়ে বড় শিল্প বিপর্যয় হিসেবে ধরা হয় হয়।
এতে কারখানার আশেপাশের শহরগুলোর ৫০,০০০০ এরও বেশি মানুষ অত্যন্ত বিষান্ত মিথাইল আইসো সায়ানেট গ্যাসের সংস্পর্শে আসেন। সরকারি হিসাবে এ দুর্ঘ্টনায় ২২৫৯ জন মানুষ মৃত্যু বরণ করেন বলে জানানো হয়। তবে মূতের সংখ্যা অনেক বেশি বলে অনুমান করা হয়। তারই ধারাবাহিকতায় কীটনাশক মুক্ত একটি মডেল শ্যামনগর উপজেলা গড়ার প্রত্যয়ে এই আয়োজন।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন-সুন্দরবন স্টুডেন্ট সলিডারিটি টিম এর সদস্য সচিব মো. সাঈদুল ইসলাম, যুব স্বেচ্ছাসেবী সমন্বয় কমিটির সদস্য মো. শামীম হোসেন, সোনামুগারী কৃষক-জেলে কল্যাণ সমিতির সভাপতি কোহিনুর বিবি, বারসিক এর সহযোগী আঞ্চলিক সমন্বয়কারী রামকৃষ্ণ জোয়ারদার, সুন্দরবন প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি ও সবুজ সংহতির যুগ্ম আহ্বায়ক পীযুষ বাউলিয়া পিন্টু, কৃষক-গবেষক দলের সভাপতি মো. হাবিবুর রহমান, কীটনাশক বিক্রেতা অশোক মন্ডল, শ্যামনগর উপজেলা প্রেসক্লাবের সাবেক উপদেষ্টা শেখ আফজালুর রহমান।
বক্তারা এসময় বলেন, বর্তমান সময়ে রাসায়নিক কীটনাশকের ব্যবহার দিনদিন বেড়েই চলছে, যার কারণে আমাদের জীববৈচিত্র্য আজ হুমকির মুখে। জীববৈচিত্র্য ভালো রাখা আমাদের সকলের দায়িত্ব, এজন্য আমাদের সচেতন হতে হবে। রাসায়নিক কীটনাশককে না বলে জৈব সারের ব্যবহার বৃদ্ধির চেষ্টা করতে হবে। এবিষয় সকলে একমত পোষণ করেন। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন বারসিক এর যুব সংগঠক স. ম ওসমান গনী সোহাগ।
আমার বাঙলা/এনবি