শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে এক কিশোরী (১৪) ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি জানাজানি হলে ভুক্তভোগীর মা বিষপানে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। গুরুতর অবস্থায় তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এ ঘটনায় চারজনকে আসামি করে ঝিনাইগাতী থানায় মামলা করেছে ভুক্তভোগীর পরিবার।
গত মঙ্গলবার রাতে ঝিনাইগাতী উপজেলার একটি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এর আগে গত ১৪ ফেব্রুয়ারি স্থানীয় একটি দর্শনীয় জায়গায় মো. ইলিয়াছ (২৫) নামের এক যুবক তার তিন সহযোগী নিয়ে ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ।
পুলিশ ও ভুক্তভোগীর পরিবারের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গত ১৪ ফেব্রুয়ারি দুপুরে ভুক্তভোগী কিশোরী তার ৩-৪ জন বান্ধবীর সঙ্গে ঝিনাইগাতীর স্থানীয় একটি দর্শনীয় জায়গায় বেড়াতে যায়। সেখানে পূর্বপরিচিত মো.ইলিয়াছের দেখা হয়। একপর্যায়ে ইলিয়াছ তার তিন সহযোগীর সহায়তায় কিশোরীকে সেখান থেকে জঙ্গলে নিয়ে ধর্ষণ করে।
পরে ওই কিশোরীর চিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে তাকে উদ্ধার করেন এবং বাড়িতে পৌঁছে দেন। পরে ওই যুবকের প্রভাবশালী পরিবার ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে মামলা না করার জন্য ভুক্তভোগীর পরিবারের ওপর চাপ প্রয়োগ করে।
এই ঘটনাটি জানাজানি হলে গত মঙ্গলবার রাতে ভুক্তভোগী কিশোরীর মা বাড়ির পাশে জঙ্গলে গিয়ে বিষপান করেন। তাকে পরিবারের সদস্যরা খোঁজাখুঁজি করে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। পরে তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে ঝিনাইগাতী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
অসুস্থ নারীর স্বামী বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে জানান, বিষপান করে তার স্ত্রী গুরুতর অসুস্থ। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী তাকে বুধবার ভোরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ঝিনাইগাতী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আল আমিন বলেন, ‘কিশোরীকে ধর্ষণের ঘটনায় থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে চারজনকে আসামি করে মামলা হয়েছে। ভুক্তভোগীকে নিরাপদ হেফাজতে এনেছি এবং তার মায়ের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বুধবার তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হবে। ইলিয়াছ ও তার সহযোগীদের আটকের চেষ্টা চলছে।’
আমারবাঙলা/জিজি