কিশোরগঞ্জ শহরে যানজট নিত্য সঙ্গী হয়ে পড়েছে। অটোরিকশার দাপটে শহরের রাস্তায় পা ফেলবারও জায়গা থাকে না। ফুটপাত অবৈধ দখলদারদের কবলে থাকায় যানজটের তীব্রতা আরও অসহনীয় হয়ে পড়েছে।
এ যানজটের কারণে ৫-৭ মিনিটের রাস্তা পাড়ি দিতে আধা ঘণ্টারও বেশি সময় নষ্ট করতে হয়। পুরানো শহর হওয়ায় শহরের প্রধান সড়ক গুলো এমনিতেই অনেকটা সরু। রাস্তার পাশে গড়ে ওঠা বহুতল বাণিজ্যিক ভবন গুলো গাড়ি পার্কিংয়ের জন্য কোন ব্যবস্থা না রাখায়, শপিংমলে আসা ক্রেতাদের গাড়িগুলো রাস্তার অনেকটা জায়গা দখল করে নেয়।
কিশোরগঞ্জ বড় বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন দিলু বলেন, ফুটপাতগুলো নিয়ন্ত্রণ করেন প্রভাবশালীরা। মাঝে মধ্যে ভ্রাম্যমাণ আদালত দখলমুক্ত করলেও দু- এক দিন পর আবার আগের জায়গায় ফিরে যায়।
সরেজমিনে শনিবার(১৫ মার্চ) দেখা যায় পবিত্র ঈদুল ফিতরের আগে বিপনিবিতান গুলোতে কেনাকাটায় ভিড় বেড়ে গেছে। এ জন্য শহরের বাহির থেকে বাড়তি অটোরিকশা ঢুকে শহরের যানজটের তীব্রতা অন্য যে কোন সময়ের চেয়ে অনেক গুণ বেড়ে গেছে।
শহরের একরামপুর মোড় থেকে কাচারি বাজারে আসতে যেখানে ৫ মিনিট সময় লাগার কথা সেখানে আধা ঘন্টায়ও পার হওয়া যায় না। এতে করে অনেক সময়ে জরুরি রোগী বহনে এ্যাালম্বুলেন্স আটকে পড়ে যানজটের কারণে।
এছাড়াও শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজের সামনের রাস্তা সরু ও ফুটপাত না থাকায় সেখানে রোগীদের বহন করে নিতে গেলে গুরুতর অসুস্থ রোগীদের সময়মত পৌঁছানোর আগেই রোগীর মৃত্যু ঘটে।
কিশোরগঞ্জ পরিবেশ আন্দোলন ( বাপা) সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম জুয়েল জানান, ফুটপাতগুলো প্রভাবশালীরা নিয়ন্ত্রণ করে, এখান থেকে মোটা অংকের চাঁদা আদায় করে থাকেন। যে জন্য পায়ে হাঁটার জায়গা না পেয়ে পথচারীরা বাধ্য হয়ে হাঁটার জন্য রাস্তায় চলে আসেন।
আমারবাঙলা/ইউকে