যুক্তরাজ্যভিত্তিক শিক্ষা ও গবেষণা সংস্থা কোয়াককোয়ারেলি সায়মন্ডসের (কিউএস) বিশ্বসেরা টেকসই বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকা প্রকাশ করেছে। তালিকায় বাংলাদেশের ১৫টি বিশ্ববিদ্যালয় জায়গা পেয়েছে। তবে বিশ্বের শীর্ষ ৬০০ বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায়ও স্থান পায়নি ঢাকা, রাজশাহী, চট্টগ্রাম, জাহাঙ্গীর বিশ্ববিদ্যালয় ও বুয়েটের মতো দেশের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো।
প্রকাশিত তালিকায় বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে সবার ওপরে রয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি)। তালিকায় ৬৩৪তম অবস্থানে রয়েছে ঢাবি। এরপর রয়েছে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি। বেসরকারি এ বিশ্ববিদ্যালয়টি ৬৯০তম স্থানে রয়েছে। শীর্ষ এক হাজারে বাংলাদেশের আর কোনো বিশ্ববিদ্যালয় নেই।
মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) তৃতীয়বারের মতো ‘কিউএস ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি র্যাঙ্কিংস: সাসটেইনেবিলিটি ২০২৫’ শীর্ষক এ র্যাঙ্কিং প্রকাশ করা হয়। এতে বিশ্বের প্রায় ১ হাজার ৮০০ বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। তালিকায় এবারও বিশ্বসেরা বিশ্ববিদ্যালয় হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে কানাডার ইউনিভার্সিটি অব টরন্টো।
তালিকায় দেশের আরও ১৩ বিশ্ববিদ্যালয়
র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের ১৫টি বিশ্ববিদ্যালয়ের রয়েছে। ঢাবি ও ড্যাফোডিল বাদে বাকিরা সবাই এক হাজারের বাইরে স্থান পেয়েছে। তৃতীয় অবস্থানে থাকা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান ১০৮০ থেকে ১১০০-এর মধ্যে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ১১০১ থেকে ১১২০, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় ১১৪১ থেকে ১১৬০ এর মধ্যে।
এরপর ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান ১৩০১-১৩৫০, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ও বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান ১৩৫১-১৪০০, আমেরিকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) অবস্থান ১৪০১ থেকে ১৪৫০এর মধ্যে।
তাছাড়া ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় এবং শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান ১৫০০-এর ওপরে। তবে ১৫০০-এর পরে থাকা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সুনির্দিষ্ট অবস্থান প্রকাশ করা হয়নি।
র্যাঙ্কিংয়ে আগে যেমন ছিল দেশের বিশ্ববিদ্যালয়
কিউএস র্যাঙ্কিং বিশ্লেষণে দেখা যায়, ২০২৩ সালে প্রথমবারের মতো টেকসই বিশ্ববিদ্যালয়ের র্যাঙ্কিং প্রকাশ করেছিল কিউএস। সেবার বিশ্বসেরা টেকসই ৭০০ বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় প্রকাশ করা হয়েছিল। তাতে স্থান পেয়েছিল ঢাবি ও বুয়েট। সেবার তালিকায় ঢাবির অবস্থান ছিল ৫৫১-৬০০ ও বুয়েটের অবস্থান ছিল ৬০১ থেকে ওপরে।
২০২৪ সালের দ্বিতীয়বারের মতো প্রকাশিত র্যাঙ্কিংয়েও এক হাজারের মধ্যে ৬৩৭তম স্থানে ছিল ঢাবি। আর ৯০১ থেকে ৯২০-এর মধ্যে অবস্থান করে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির অবস্থান ছিল দ্বিতীয়। তাছাড়া এক হাজারের ওপরে স্থান হয়েছিলও আরও চারটি বিশ্ববিদ্যালয়ের।
যেসব মানদণ্ডে র্যাঙ্কিং তৈরি
র্যাঙ্কিংয়ে এবার তিনটি সূচকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সামগ্রিক মানদণ্ড নিরূপণ করা হয়েছে। সব সূচক মিলিয়ে মোট স্কোর ১০০। তিন সূচকের যোগফলের গড়ের ভিত্তিতে সামগ্রিক স্কোর নির্ধারিত হয়। সূচকগুলোর মধ্যে পরিবেশগত প্রভাব ৪৫ শতাংশ, সামাজিক প্রভাব ৪৫ শতাংশ এবং শাসনগত প্রভাব ১০ শতাংশ ধরে এ মান নিরূপণ করা হয়।
আমার বাঙলা/এনবি