আন্তর্জাতিক ডেস্ক: কাতারে ইসরায়েলের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির অপরাধে ৮ ভারতীয় নৌবাহিনীর সাবেক সদস্যকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিল দেশটির আদালত। তবে বিষয়টি নিয়ে দুই দেশের দীর্ঘ কূটনৈতিক আলোচনার পরে ওই ৮ জনের দণ্ড মওকুফ করে ভারতের ফেরত পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয় কাতার।
মধ্যপ্রাচ্যের দেশটি সেই সিদ্ধান্ত অনুসারে এরই মধ্যে ৮ ভারতীয়কে মুক্তি দিয়েছে। আটজনের মধ্যে মধ্যে সাতজনই ভারতে ফিরেছেন। দেশে ফেরার আগে, এই ৭ জন কাতারে ১৮ মাস কারাদণ্ড ভোগ করেছেন।
রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এসব তথ্য নিশ্চিত করে।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে কাতার সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলে, দণ্ডপ্রাপ্ত ৮ ভারতীয় নাগরিকের মুক্তিকে আমরা স্বাগত জানায়। আটজনের মধ্যে সাতজনই ভারতে ফিরে এসেছেন। কাতারের আমিরের এই সিদ্ধান্ত প্রশংসার দাবিদার।
৮ ভারতীয় হলেন- ক্যাপ্টেন নভোতেজ সিং গিল, ক্যাপ্টেন সৌরভ বশিষ্ট, কমান্ডার পূর্ণেন্দু তিওয়ারি, ক্যাপ্টেন বীরেন্দ্র কুমার ভার্মা, কমান্ডার সুগুনাকর পাকালা, কমান্ডার সঞ্জীব গুপ্ত, কমান্ডার অমিত নাগপাল এবং নাবিক রাগেশ। এই ৮ জন একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান দাহরা গ্লোবালে কর্মরত ছিলেন। তাদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল মূলত ইতালির তৈরি ইউ ২১২ স্টিলথ সাবমেরিন কাতারে নৌবাহিনীর সদস্যদের কাছে পরিচিত করানোর জন্য।
এর আগে, গত বছরের ২৬ অক্টোবর কাতারের আদালত এই ৮ ভারতীয় নাগরিককে মৃত্যুদণ্ড দেয়। তার আগে থেকেই ইসরায়েলের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির অপরাধে এক বছরেরও বেশি সময় ধরে তারা কাতারের কারাগারে বন্দী ছিলেন।
কাতার ভারতীয় নাবিকদের মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার পর প্রতিক্রিয়ায় ভারত সরকার বলেছিল, মৃত্যুদণ্ডের রায়ে আমরা গভীরভাবে মর্মাহত ও বিস্তারিত রায়ের কপি হাতে পাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছি। আমরা সামরিক কর্মকর্তাদের পরিবারের সদস্য ও আইন পরামর্শক দলের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি। পাশাপাশি আমরা সব ধরনের আইনি বিকল্প খুঁজে দেখছি।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সে সময় আরও জানিয়েছিল, আমরা এই মামলাটি অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে দেখছি ও নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ চালিয়ে যাচ্ছি। আমরা সব ধরনের কনস্যুলার ও আইনি সহায়তা অব্যাহত রাখব। আমরা এ রায় নিয়ে কাতারের কর্তৃপক্ষের কাছেও যাব।
ভারত সরকারের তৎপরতার পর গত বছরের ২৮ ডিসেম্বর মৃত্যুদণ্ড পাওয়া ওই আট ভারতীয় নাগরিকের সাজা কমায় কাতার। শুনানি শেষে কাতারের আদালত তাদের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড থেকে কমিয়ে কারাদণ্ড ঘোষণা করেন। সূত্র: এনডিটিভি
এবি/এইচএন