সংগৃহীত
লাইফস্টাইল
নিপাহ ভাইরাস

কাঁচা খেজুরের রস পান নিরাপদ নয়

লাইফস্টাইল ডেস্ক: বাংলাদেশে নিপাহ ভাইরাসের ঝুঁকি শীত মৌসুমে বৃদ্ধি পায়। খেজুরের রসে এই ভাইরাসের অন্যতম কারণ বাদুরের সংস্পর্শ। শীতকালে অনেকেই খেজুরের রস পান করেন। এই রস দিয়ে তৈরি করা হয় পিঠা, পায়েস। তবে কাঁচা খেজুরের রস পান নিরাপদ নয়। কারণ এ রসের মাধ্যমেই নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারেন।

নিপাহ ভাইরাসের আদ্যোপান্ত নিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্টারনাল মেডিসিন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. তৌফিক আহমেদ বলেন, আমাদের দেশে যশোর, নড়াইল, মাগুরা, ফরিদপুর এসব জায়গায় প্রচুর খেজুর গাছ রয়েছে। শীত মৌসুমে অনেকে খেজুরের রস পান করেন। খেজুরের খোলা রসে বাদুরের লালার সংস্পর্শ থেকে রোগ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা থাকে।

নিপাহ ভাইরাস বাদুরের লালা ও বিভিন্ন অংশ থেকে ছড়ায়। বর্তমানে বড়-ছোট অনেকেই এই ভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছেন- এটি মারাত্মক একটি রোগ। মস্তিষ্কে সংক্রমণ করে এই ভাইরাস মানুষের মৃত্যু ঘটায়।

নিপাহ ভাইরাসজনিত রোগে আক্রান্ত হলে মৃত্যুঝুঁকি ৭০-৯০ শতাংশ বাড়ে এবং এই রোগের প্রতিষেধক আবিষ্কৃত হয়নি ফলে সচেতন থাকা জরুরি বলেও জানান ডা. তৌফিক।

নিপাহ ভাইরাসজনিত রোগের লক্ষণ:

জ্বর, মাথাব্যথা, খিচুনি দিয়ে কখনো জ্বর আসা, অনেক ক্ষেত্রে শাসকষ্ট হওয়া, জ্ঞান হারানো ইত্যাদি।

প্রতিকার :

কাঁচা খেজুরের রস পান করা থেকে বিরত থাকতে হবে। বাদুর বা পাখিতে অর্ধেক খাওয়া ফল খাওয়া থেকে বিরত থাকা। ফলমূল ভালোভাবে পরিষ্কার করে খাওয়া। খেজুরের রস কাচা না খেয়ে সিদ্ধ করে পান করা। কেউ আক্রান্ত হলে দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া অথবা চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া।

ডা. তৌফিক আরও বলেন, আমাদের সরাসরি খেজুরের কাচা রস পান করা থেকে বিরত থাকতে হবে। কেউ রস পান করতে চাইলে সিদ্ধ করে খেতে পারবে অথবা কেউ যদি জাল দিয়ে ঢেকে রস সংগ্রহ করতে পারে তবে সেই রস খাওয়া উত্তম। খোলা কিংবা বাজারের রস একেবারেই পান করা উচিত নয়। আমাদের সবাইকে সচেতন থাকতে হবে। সচেতনতাই পারে আমাদের এই ভাইরাস থেকে রক্ষা করতে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগনিয়ন্ত্রণ শাখা এর আগে বৃ্হস্পতিবার নিপাহ ভাইরাস নিয়ে জরুরি স্বাস্থ্য বার্তা দিয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বার্তায় বলা হয়েছে, কাঁচা খেজুরের রসে বাদুড়ের বিষ্ঠা ও লালা মিশ্রিত হয় এবং ওই বিষ্ঠা ও লালাতে নিপাহ ভাইরাসের জীবাণু থাকে। ফলে খেজুরের কাঁচা রস পান করলে মানুষ নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারে। বর্তমান সময়ে বড়দের পাশাপাশি শিশু-কিশোরেরা নিপাহ ভাইরাসে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে।

বার্তায় আরো বলা হয়েছে, খেজুরের কাঁচা রস সংগ্রহ, বিক্রয় ও বিতরণের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট গাছি ও জনসাধারণকে প্রাণিবাহিত সংক্রামক ব্যাধি নিপাহ ভাইরাস সম্পর্কে জানানো হলে এ রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব। এই রোগে মৃত্যু ৭০ শতাংশের বেশি। ২০২২-২৩ সালে দেশে এ রোগে আক্রান্ত ১৪ জনের মধ্যে ১০ জনই মৃত্যুবরণ করেন। তাই প্রতিরোধই হচ্ছে এই রোগ থেকে বাঁচার উপায়।

তবে খেজুরের রস থেকে তৈরি গুড় খেতে কোনো বাধা নেই।

এবি/এইচএন

Copyright © Amarbangla
সবচেয়ে
পঠিত
সাম্প্রতিক

ট্রয় নগরী ধ্বংসে ‘ইরিস’ নাকি ‘হেলেন’, কে দায়ী?

স্রষ্টা পৃথিবীর বংশগতি রক্ষার জন্য নারী ও পুরুষ প্...

জয়ে ফিরল আর্জেন্টিনা

শেষ মুহূর্তে লাউতারো মার্টিনেজের দুর্দান্ত এক গোলে...

জুলাই অভ্যুত্থান নিয়ে শিল্পকলায় ভাস্কর্য কর্মশালা: পরিচালনায় ভাস্কর পাপিয়া

রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমির প্রশিক্ষণ বিভাগের তত্ত্...

এ আর রহমানের ২৯ বছরের সংসার ভাঙছে

দীর্ঘ ২৯ বছরের সংসার ভাঙছে খ্যাতিমান সঙ্গীতজ্ঞ, অস...

ঝিনাইদহে সুদের টাকা না পেয়ে বাড়ি দখলের অভিযোগ

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে সুদের টাকা না পেয়ে এক দিনমজুরে...

বিচারের পরই নির্বাচনে স্বাগত জানানো হবে আওয়ামী লীগকে

‘আওয়ামী লীগকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা কর...

কাল ঢাকা আসছেন বাইডেন প্রশাসনের বিশেষ প্রতিনিধিদল

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের গণতন্ত্র, মানবাধি...

নেতানিয়াহুকে গ্রেফতারের নির্দেশ আইসিসির

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও দেশ...

নতুন সিইসি নাসির উদ্দীনের নাম ছিল বিএনপির তালিকায়

অবসরপ্রাপ্ত সচিব এ এম এম নাসির উদ্দীন প্রধান নির্ব...

আপত্তিকর ভিডিও ধারণের অভিযোগ তিশার

শুটিং সেটে আপত্তিকর ভিডিও ধারণ করার অভিযোগ তুলেছেন...

লাইফস্টাইল
বিনোদন
খেলা