কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলার হালুয়াপাড়া গ্রামের মোঃ ইফরান এক বিঘা জমিতে সূর্যমুখী ফুলের চাষ করেছেন শখের বশে।
ইউটিউব দেখে পরীক্ষামূলকভাবে প্রথমবার এক বিঘা জমিতে সূর্যমুখী ফুলের চাষ করে কৃষি অফিসসহ সবাইকে তিনি তাক লাগিয়ে দিয়েছেন। সূর্যমুখী বাগানে সারি সারি লাগানো ফুলগাছ। হলুদ ফুল আর সবুজ গাছের অপরূপ দৃশ্য দেখলেই দুই চোখ জুড়িয়ে যায়।
সরেজমিনে দেখা গেছে, সবুজ গাছে ফুটে আছে শত শত সূর্যমুখী ফুল । প্রতিনিয়ত মিষ্টি হলুদ রঙের সূর্যমুখী দেখতে ভিড় করছেন হাজারো দর্শনার্থী। স্থানীয় সংবাদ কর্মীদের মাধ্যমে সূর্যমুখী ফুলের বাগানের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে ছড়িয়ে পড়ার পর দর্শনার্থী ও সৌন্দর্য পিপাসু মানুষ দলবেঁধে আসছেন বাগান দেখতে।
সূর্যমুখী চাষি মোঃ ইফরান বলেন,কৃষি কর্মকর্তাদের পরামর্শে লেখাপড়া ছেড়ে গরুর খামারের পাশাপাশি এক বিঘা জমিতে পরীক্ষামূলকভাবে আরডিএস ২৭৪ জাতের সূর্যমুখী চাষ করেছি। ফলনও হয়েছে চমৎকার। প্রতিটি গাছে ফুল এসেছে। সরকারের ফ্লাড রিকনস্ট্রাকশন ইমারজেন্সী এসিসট্যান্স প্রজেক্ট(ফ্লীপ)সকল ধরনের সহযোগিতা পেয়েছি। আবহাওয়া ভাল থাকলে ফলন ভাল পাওয়া যাবে। সূর্যমুখী বীজের কাঙ্খিত দাম পেলে ধানের চাষের চেয়ে অন্তত তিন গুন লাভবান হব আশা করছি। একদিকে যেমন ফুলের সৌন্দর্য মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে অন্যদিকে এ ফুলের বীজ বেঁচেও লাভবান হওয়া যায়। সে চিন্তা মাথায় রেখেই এ বাগান করেছি।
কৃষি বিভাগ সুত্রে জানা যায়, কৃষি বিভাগের সার্বিক তত্বাবধানে সরকারের ফ্লাড রিকনস্ট্রাকশন ইমারজেন্সী এসিসট্যান্স প্রজেক্ট(ফ্লীপ) অর্থায়নে চাষিদের উদ্বুদ্ধ করতে বিনামূল্য সরবরাহ করা হয় সার, বীজ ও নগদ অর্থ।
এছাড়া ক্যান্সার ও হৃদরোগ প্রতিরোধী অধিক পুষ্টিগুণ সম্পন্ন সূর্যমুখীর তেল অন্যান্য সাধারণ তেলের চেয়ে একটু আলাদা। কোলেস্টেরলমুক্ত প্রচুর পরিমাণে প্রাণশক্তি থাকায় সূর্যমুখী তেল শরীরের দুর্বলতা, কার্যক্ষমতা বাড়াতে সূর্যমুখীর ভূমিকা অনন্য। রান্নার জন্য সয়াবিন তেলের চেয়ে সূর্যমুখী তেল দশগুণ বেশি পুষ্টি সমৃদ্ধ। সূর্যমুখী তেল হাড় সুস্থ ও মজবুত করে। শরীরের ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ও কপারের চাহিদা পূরণ করে। ভিটামিন সমৃদ্ধ এ তেল শরীরের নানা রকম ব্যথা দূর করতে সহায়তা করে।
আমারবাঙলা/ইউকে