সাকিব আল হাসানের নাম নেই আইসিসি ওয়ানডে র্যাঙ্কিং থেকে। তালিকায় কে থাকবেন বা কে থাকবেন না, সেটা নির্ধারণের জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম রয়েছে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থার। সেই নিয়ম অনুসারেই বাংলাদেশের অভিজ্ঞ অলরাউন্ডারের নাম কাটা পড়েছে।
বুধবার ক্রিকেটারদের র্যাঙ্কিংয়ের সাপ্তাহিক হালনাগাদ প্রকাশ করেছে আইসিসি। সেখানে দেখা যায়, টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ে নাম থাকলেও ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি র্যাঙ্কিংয়ে অনুপস্থিত সাকিব। টেস্টের ব্যাটিং র্যাঙ্কিংয়ে তিনি ৫৫ ও বোলিং র্যাঙ্কিংয়ে ৩২ নম্বরে অবস্থান করছেন।
টি-টোয়েন্টি থেকে ৩৭ বছর বয়সী তারকা অবসরে নিয়ে ফেলেছেন। তাই অনুমিতভাবেই তার নাম এই সংস্করণের র্যাঙ্কিং থেকে বাদ পড়েছে। তবে আগামী বছর অনুষ্ঠেয় চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি পর্যন্ত ওয়ানডে খেলে যেতে চাওয়া সাকিব কেন নেই ৫০ ওভারের ক্রিকেটের র্যাঙ্কিংয়ে?
শুনতে অবাক লাগলেও ব্যাখ্যাটা খুব স্বাভাবিক। আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী, কোনো ক্রিকেটার টানা ১২ মাস ওয়ানডে বা টি-টোয়েন্টিতে না খেললে র্যাঙ্কিং থেকে তিনি বাদ পড়েন। আর টেস্টের ক্ষেত্রে টানা ১৫ মাস খেলার বাইরে থাকলে নাম কাটা পড়ে র্যাঙ্কিং থেকে।
সাকিব সবশেষ ওয়ানডে খেলেছিলেন এক বছরের বেশি সময় আগে, ২০২৩ সালের ৬ নভেম্বর শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। ভারতে হওয়া বিশ্বকাপে দিল্লিতে অনুষ্ঠিত ওই ম্যাচে ৩ উইকেটে জিতেছিল বাংলাদেশ। অলরাউন্ড নৈপুণ্য দেখানো সাকিবের হাতে উঠেছিল ম্যাচসেরার পুরস্কার। বল হাতে ২ উইকেট নেওয়ার পর ব্যাট হাতে ৮২ রানের ইনিংস খেলেছিলেন তিনি।
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ঘরের মাঠে বাংলাদেশের সবশেষ টেস্ট সিরিজে খেলে এই সংস্করণ থেকে অবসর নিতে চেয়েছিলেন সাকিব। কিন্তু ব্যক্তিগত নিরাপত্তার স্বার্থে যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে ফেরা হয়নি তার। এরপর শারজাহতে আফগানিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের সবশেষ ওয়ানডেও সিরিজে খেলেননি তিনি।
আমার বাঙলা/এনবি