এলিয়েনদের জীবন কেমন সে বিষয়ে মানুষের প্রবল আগ্রহ আছে। তারা তো নিশ্চয় আমাদের মতো নয়। এলিয়েনদের জীবন সম্পর্কে জানার কৌশলেও পরিবর্তন আনার প্রস্তাব দিয়েছেন আমেরিকার আরিজোনা ইউনিভার্সিটির জ্যোতির্বিজ্ঞানের প্রফেসর ক্রিস ইমপে। তার মতে, অপরিচিত এই জীবটির প্রমাণ পেতে হলে বাড়তি কিছু সৃষ্টিশীলতা লাগবে। এই বিশ্ব কীভাবে তৈরি হয়েছে, তার একটিমাত্র প্রমাণ জীববিজ্ঞানে রয়েছে।
আর সেটি হচ্ছে পৃথিবীতে প্রাণের অস্তিত্ব রয়েছে। প্রশ্ন হচ্ছে, পৃথিবীতে প্রাণের উদ্ভব যদি ভিন্নভাবে হতো, তাহলে অবস্থা কী দাঁড়াত?
যেসব বিজ্ঞানী পৃথিবীর বাইরে প্রাণের অস্তিত্ব তালাশ করেন, তাদের বলা হয় জ্যোতির্জীববিজ্ঞানী। তারা এলিয়েনকে কল্পনা করছেন পৃথিবী ও পৃথিবীর বাইরে জটিল প্রাকৃতিক ও জৈবিক বিধির আলোকে।
প্রফেসর ক্রিস ইমপে মনে করেন, বহির্জাগতিক প্রাণী অনুজীবের মতোও হতে পারে।
তিনি জানান, নব্বইয়ের দশকে এক্সোপ্লানেট স্বীকৃত হওয়ার পর থেকে পাঁচ হাজারের বেশি এক্সোপ্লানেট আবিষ্কৃত হয়েছে। এসব এক্সোপ্লানেটেও প্রাণের অস্তিত্ব রয়েছে কিনা, তা জানতে রেডিও সিগন্যাল পাঠানো হচ্ছে। উল্লেখ্য, এক্সোপ্ল্যানেট সৌরজগতের বাইরের একটি গ্রহ। একটি এক্সোপ্ল্যানেটের প্রথম সম্ভাব্য প্রমাণ ১৯১৭ সালে উল্লেখ করা হয়েছিল, কিন্তু তখন সেভাবে স্বীকৃত হয়নি।
এটি যে ভিন্ন গ্রহ, প্রথম ১৯৮৮ সালে আবার শনাক্ত করা হয়েছিল এবং ২০০৩ সালে নিশ্চিত হন বিজ্ঞানীরা। চলতি বছরের ১২ ডিসেম্বর পর্যন্ত, চার হাজার ৩৩৬টি গ্রহব্যবস্থায় পাঁচ হাজার ৮০৬টি নিশ্চিত এক্সোপ্ল্যানেট রয়েছে, ৯৭২টি সিস্টেমে একাধিক গ্রহ রয়েছে। আশা করা হচ্ছে, জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ (জেডব্লিউএসটি) আরো এক্সোপ্ল্যানেট আবিষ্কার করবে এবং তাদের বৈশিষ্ট্য, তাদের গঠন, পরিবেশগত অবস্থা এবং জীবনের সম্ভাবনা সম্পর্কে আরো অন্তর্দৃষ্টি দেবে।
প্রফেসর ক্রিস ইমপে এটিও বলেছেন, বিজ্ঞানীরা বসে নেই। তবে পৃথিবীর বাইরে প্রাণের অস্তিত্বের প্রমাণ বিজ্ঞানীদের হাতে কবে আসবে, তা কেউ জানেন না।
সূত্র : সায়েন্সডেইলি.কম
আমারবাঙলা/এমআরইউ