সাজু আহমেদ: দেশের তরুণ বাচিকশিল্পী রিয়াজ রনি। দুই দশক আগে বেশ কিছু টিভি নাটক নির্মাণ করে নিজের সাংস্কৃতিক প্রতিভার জাত চিনিয়েছেন। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে গণমাধ্যমে কাজ করার সুবাদে আাবৃত্তি, উপস্থাপনাসহ বাচিকশিল্পের নানা বিভাগে নিজেকে সম্পৃক্ত রেখে একের পর এক চমকে দিচ্ছেন রিয়াজ রনি। বাচিকশিল্প অঙ্গনে নিয়মিত কাজের ধারাবাহিকতায় নতুন প্রযোজনা প্রকাশ করতে যাচ্ছেন তিনি। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ও শহীদ দিবস উপলক্ষ্যে প্রকাশ হতে যাচ্ছে রিয়াজ রচিত রচিত ও পরিবেশিত বাংলা লোকসহিত্যর অমূল্য সম্পদ্ 'ভাষার পুঁথি' গান। পুঁথিটিতে তুলে ধরা হয়েছে বাংলা ভাষা সংগ্রামের ইতিহাস, বাংলা ভাষার অপব্যবহার ও করণীয়বিষয়ক নানা তথ্য। ভাষার বিশেষ পুঁথিটি রচনার পাশাপাশি গেয়েছেন সব্যসাচী শিল্পী সাংস্কৃতিকর্মী, মিডিয়া ব্যক্ত্বিত্ব রিয়াজ রনি। এটি তার লেখা দ্বিতীয় পুঁথি। এর আগে তিনি পরিসংখ্যান দিবস উপলক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্দেশ্যে প্রথম পুঁথি রচনা ও পরিবেশন করে প্রশংসিত হয়েছিলেন। ভাষার পুঁথিটি একুশে ফেব্রুয়ারিতে রেডিও রনির ফেসবুক ও ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশ হবে।
এর আগে গত ১৪ ফেব্রুয়ারি ভালবাসার দিনে প্রিমিয়ার হয় কমলেশ রায়ের রচনায় রিয়াজ রনি ও জিনাত জাহানের শ্রুতিকথনে নাটক 'বৃষ্টি দুপুর'। গত বছর একই দিনে প্রচার হওয়া ' জ্যোৎস্না দুপুর'-এর সিক্যুয়াল 'বৃষ্টি দুপুর'। শ্রুতি নাটকটি এবিসি রেডিও বিশ্ব ভালবাসা দিবস শ্রোতাদের অনুরোধে পূনঃপ্রচার করে। শ্রোতাদের কথা চিন্তা করেই এবছরও প্রকাশ করা হয় 'বৃষ্টি দুপুর'। শ্রুতিটির আবহসংগীত ও ভিডিও নির্মাণ করেছেন রিয়াজ রনি নিজে। ফেসবুক ও ইউটিউব চ্যানেল 'রেডিও রনি' এবং 'জিনাত'স ক্লাউডে প্রচার হয়। 'বৃষ্টি দুপুর' নাটকের জন্য কান পাতলে শোনা যায় এক দুপুরে হঠাৎ কবি অরি মুন্সীকে ফোন করেন অচেনা এক তরুণী। নাম মিলি চৌধুরী। এরপর জমে ওঠে তাদের আলাপন। দুপুরের আলাপ জ্যোৎস্নার মতো মায়া ছড়ায়। হুট করে হয় ছন্দপতন। অসুস্থ হয়ে পড়েন মিলি। তাকে দেখতে হাসপাতালের দিকে রওয়ানা হন অরি। কিন্তু শেষপর্যন্ত তাদের কি দেখা হয়েছিল? শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতিতে এমন প্রশ্নের রোমাঞ্চকর উত্তর পাওয়া যায় নাটকে। আবহসঙ্গীত এবং গল্পের ব্যতিক্রমী শৈল্পিক উপস্থাপনার দরুন নাটকটি শ্রোতামহলে বেশ প্রশংসা পাচ্ছে।