নিজস্ব প্রতিবেদক: আলু, পেঁয়াজ ও ডিমের দাম সরকার কতৃক নির্ধারিত হওয়ার ৪০ দিন পরেও বাজারে তা কার্যকর হয়নি, বরং আগের চেয়ে বেড়েছে।
বাজারের তথ্য অনুযায়ী, দাম বেঁধে দেওয়ার সময় বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম ছিল ৭০-৮০ টাকার মধ্যে, যা এখন বিক্রি হচ্ছে ৮৫-১০০ টাকা পর্যন্ত। প্রতি হালি ডিমের দাম ৫০-৫৩ টাকার মধ্যে ছিল, যা এখন বাজার ভেদে ৫২-৫৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বাজারে কেবল আলুর দাম ঐ সময়ের ব্যবধানে বাড়েনি, এখনো স্থিতিশীল আছে। গত ১৪ সেপ্টেম্বর দাম নির্ধারণের সময় আলুর দাম ছিল ৪৫- ৫০ টাকা, এখনো তাই আছে।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর বাজারে নির্ধারিত দাম কার্যকর করতে অভিযান চালাচ্ছে। তবে তাতে কোনো কাজ হচ্ছে না, বরং সরবরাহের ঘাটতি তৈরির অভিযোগ উঠছে।
এদিকে সরকার ১৫ কোটি ডিম আমদানির অনুমতি দিলেও তা এখনো দেশে আসেনি। গত সপ্তাহের মধ্যে ডিম আসবে বলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় জানালেও আমদানিকারকরা বলেন, পূজার আগে আর সম্ভব নয়। ভারত ও বাংলাদেশের স্থলবন্দর পূজার ছুটিতে বন্ধ রয়েছে।
সরেজমিনে রাজধানীর কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা যায়, আলু কিনতে ক্রেতাদের দিতে হচ্ছে কেজি প্রতি ৪৫-৫০ টাকা, যদিও নির্ধারিত দর ৩৫-৩৬ টাকা।
দেশি পেঁয়াজের নির্ধারিত দাম ৬৪-৬৫ টাকা, বিক্রি হচ্ছে ৮৫-১০০ টাকা কেজি। ডিমের দাম কোথাও প্রতি হালি ৫০ টাকা, আবার কোথাও ৫৫ টাকা দরে বিক্রি হয়। যেখানে সরকার নির্ধারিত দাম ৪৮ টাকা।
রামপুরা বাজারে মুদি ব্যবসায়ী আবু হোসেন জানান, দাম বেঁধে দেওয়ার কোনো প্রভাব পড়েনি। আগের মতোই আছে। বরং কিছুটা বাড়তি। ডিমের দাম কমে আবার বেড়ে গেছে। আমরা পাইকারি বাজার থেকে কমে কিনতে পারছি না। তাই খুচরায়ও দাম কমেনি।
উল্লেখ্য, গত ১৪ সেপ্টেম্বর বাণিজ্য, কৃষি ও প্রাণি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের এক বৈঠকে আলু, ডিম ও দেশি পেঁয়াজের দাম নির্ধারণ করে দেওয়া হয়।
এবি/এইচএন