উস্তাদ হাসান আলী খান স্মারকগ্রন্থের পাঠ উন্মোচন হলো শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) অমর একুশে বইমেলায় ঝুমঝুমি প্রকাশনীর স্টল নম্বর ১৭২-১৭৩-এর সামনের চত্বরে। দেশের বিশিষ্ট সঙ্গীত ব্যক্তিত্ব শেখ সাদী খান পাঠ উন্মোচনের সূচনা করেন।
স্মারকগ্রন্থটি সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘তিতাস-মেঘনা-গোমতির সন্তান উস্তাদ হাসান আলী খানের সঙ্গীত জীবন নিয়ে তার সুহৃদ, শিষ্য ও শুভার্থীদের লেখায় সাজানো হয়েছে গ্রন্থটি। এক কথায় এই গ্রন্থে রয়েছে আমাদের শিকড় সংস্কৃতির অমূল্য তথ্য।’
তিনি খেদের সঙ্গে বলেন, ‘বইমেলা কোনো বৃন্দাবন নয়; আজকাল পাঠকের চেয়ে ভ্রমণ বিলাসীদের আনাগোনাই বেশি।’
এসময় উপস্থিত ছিলেন পণ্ডিত মিন্টুকৃষ্ণ পাল, শিল্পী বিধু চৌধুরী, শিল্পী পারভীন সুলতানা, কবি শাহ মোহাম্মদ সানাউল হক, সম্পাদনা পরিষদের সদস্য রফিক সুলায়মান ও শিল্পী করিম হাসান খান। আরো উপস্থিত ছিলেন উস্তাদ হাসান আলী খানের পরিবারের সদস্যরা।
স্মারকগ্রন্থে লিখেছেন হাসান আলী খানের ছাত্র-ছাত্রী, সুহৃদ এবং সঙ্গীতপ্রেমীরা।
বইটির সম্পাদনা পরিষদের সদস্য রফিক সুলায়মান বলেন, বইটিতে আলেখ্য অনেক তথ্য ও ঘটনা সন্নিবেশিত হয়েছে; যা বাংলা সঙ্গীত ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ সংযোজন বলে আমার বিশ্বাস।
উস্তাদ হাসান আলী খান স্মারকগ্রন্থ সম্পাদনা করেছেন কাজী মোমেন, করিম হাসান খান এবং রফিক সুলায়মান। স্বরলিপি প্রণয়ন করেছেন ড. পরিতোষ কুমার মণ্ডল। গ্রন্থটি প্রকাশ করেছে ট্রিমসমার্ট। পরিবেশনায় ঝুমঝুমি প্রকাশনী। প্রচ্ছদ এঁকেছেন তানজিল হাসনাইন মঈন রনীত।
উস্তাদ হাসান আলী খান ঐতিহ্যবাহী তিতাস-মেঘনা অববাহিকার সন্তান। জন্মেছিলেন সঙ্গীতের উর্বরভূমি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরের কুলাশিন গ্রামে।
তার কালে তিনি ছিলেন অত্যন্ত বিদগ্ধ সঙ্গীতগুণী এবং শিক্ষক। তার ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে রয়েছেন ড. সনজিদা খাতুন, ইন্দ্রমোহন রাজবংশী, মুজিব পরদেশী, আরিফ দেওয়ান প্রমুখ।
আমারবাঙলা/এমআরইউ