নিজস্ব প্রতিবেদক: রাত পোহালেই ঈদুল ফিতর। ঈদের ছুটিতে প্রিয়জনদের সঙ্গে ঈদ করতে বাড়ির পথে শেষ মুহূর্তেও ছুটছে মানুষ। এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে ইচ্ছেমতো ভাড়া আদায় করছেন পরিবহন সংশ্লিষ্টরা।
ঈদযাত্রার শেষ সময়ে এসে সড়কে যানজটে নাকাল হতে হচ্ছে তাদের। এছাড়া, বাসগুলো নির্দিষ্ট সময়ে ছাড়ছে না বলে অভিযোগ করছেন যাত্রীরা।
ঢাকা থেকে গাড়ি ছাড়তেই অপেক্ষা করতে হচ্ছে ঘণ্টার পর ঘণ্টা। গাড়ি পেলেও দ্বিগুণ ভাড়ায় যেতে হচ্ছে যাত্রীদের। এমন পরিস্থিতিতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেয়া সাধারণ মানুষ।
যাত্রীদের অভিযোগ, দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করেও তারা গাড়ি পাচ্ছেন না। আবার গাড়ি মিললেও ভাড়া দ্বিগুণ। সব মিলিয়ে নিম্নআয়ের মানুষের জন্য ঈদযাত্রা বড় সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, তীব্র যানজটে সড়কে থমকে আছে গাড়ি। সড়কের জট ছড়িয়ে পড়েছে ফ্লাইওভারেও।
যাত্রাবাড়ী মৎস্য আড়তে কর্মরত আব্দুর রব জানান, অনেক যাত্রী অপেক্ষা করছে। সে তুলনায় গাড়ি কম। আবার গাড়ি পেলেও বাড়তি ভাড়া নিচ্ছে। বরিশালের ভাড়া চায় ১২০০ টাকা, যা অন্য সময়ের চেয়ে দ্বিগুণ।
নড়াইলের লোহাগড়ায় যাচ্ছেন রিকশাচালক শেখ মহিউদ্দিন। তিনি বলেন, অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকেও গাড়ি পাচ্ছি না। পেলেও অনেক বেশি ভাড়া চাচ্ছে। এমনিতে ভাড়া ৪০০, এখন চাচ্ছে ৮০০ টাকা। তাই এখনো দাঁড়িয়ে আছি।
নড়াইল এক্সপ্রেসের হেলপার বলেন, জ্যামের কারণে আমাদের গাড়ি ঠিকমতো আসতেই পারছে না। ঈদে ভাড়া এমনিতেই একটু বেশি। জ্যামে গাড়ি আটকা থাকায় ট্রিপ কম হয়। বেশি ভাড়া না নিয়ে উপায় আছে?
সায়েদাবাদে শ্যামলী পরিবহনের ম্যানেজার সাগর বলেন, যাত্রীর চাপ বেশি। কিন্তু গাড়ি জ্যামের কারণে সায়েদাবাদই ছাড়তে পারছে না। সব গাড়ি ফুল। কিন্তু গাড়ি নড়ছে না। জ্যামের কারণে ট্রিপ কমে গেছে। আমরা কোনো বাড়তি ভাড়া নিচ্ছি না।
গোল্ডেন লাইনের বাসের জন্য অপেক্ষারত শিহাব চৌধুরী বলেন, আমি অনেক সময় ধরে অপেক্ষা করলেও বাস আসছে না। জ্যামের কারণে গাড়ি নড়তেই পারছে না। আর গাড়ি শহরে ঢুকতে না পারলে যাত্রীও নিতে পারছে না। তাই অপেক্ষা করতে হচ্ছে।
এবি/এইচএন