ব্যাপক ধরপাকড় ও আটকের জেরে রাজধানী ইসলামাবাদে গত প্রায় তিন দিন ধরে চলা ব্যাপক বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নিয়েছে পাকিস্তানের প্রধান বিরোধী দল পাকিস্তান তেহরিক-ই ইনসাফ (পিটিআই)। দলটির কেন্দ্রীয় মিডিয়া সেল থেকে প্রদান করা এক বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে এ তথ্য।
পিটিআইয়ের প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খানের নির্দেশনা অনুযায়ী, পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলেও উল্লেখ করা হয় বিবৃতিতে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, নিষ্ঠুর-নির্মম মনোভাব এবং নিরস্ত্র জনগণকে হত্যার মাধ্যমে রাজধানীকে কসাইখানা বানানোর যে পরিকল্পনা নিয়ে সরকার এগোচ্ছে, তার জেরেই আমরা সাময়িকভাবে আমাদের শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ কর্মসূচি স্থগিত ঘোষণা করছি।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও দলের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ইমরান খানের মুক্তি, সরকারের পদত্যাগ এবং সংবিধানের ২৬তম সংশোধনী বাতিলের দাবিতে গত ২৪ নভেম্বর ইসলামাবাদ অভিমুখে রওনা দেন পিটিআইয়ের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা। মঙ্গলবার তারা ইসলামাবাদের গুরুত্বপূর্ণ এলাকা ডি-চকে এসে পৌঁছে বিক্ষোভ-প্রতিবাদ শুরু করেন।
ইসলামাবাদে পুলিশ ও পাকিস্তানের সীমান্তরক্ষী বাহিনী রেঞ্জার্সের সংঘাত শুরু হয় তাদের। এতে পুলিশ-রেঞ্জার্স এবং পিটিআইয়ের মোট ছয় জন নিহত হন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে অবশ্য আগে থেকেই রাজধানীতে সেনা মোতায়েন করেছিল সরকার। পিটিআইয়ের যে কোনো কর্মী-সমর্থককে দেখামাত্র গুলি করার নির্দেশও দেওয়া হয়েছিল।
তবে ইসলামাবাদের রেড জোন এবং ডি-চকে পৌঁছানোর পর পুলিশ, রেঞ্জার্স এবং সেনা সদস্যদের হাতে ব্যাপক ধরপাকড়ের শিকার হন পিটিআইয়ের নেতাকর্মীরা। এই ধরপাকড়ের এক পর্যায়ে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান এই আন্দোলন কর্মসূচির শীর্ষ দুই নেতা খাইবার পাখতুনখোয়ার মুখ্যমন্ত্রী আলী আমিন গান্দাপোর এবং ইমরান খানের স্ত্রী বুশরা বিবি। পরে রাতে এক বার্তায় পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের রাজনৈতিক উপদেষ্টা রানা সানাউল্লাহ জানান, ইসলামাবাদের বিক্ষোভ কর্মসূচি থেকে পিটিআইয়ের পাঁচ শতাধিক নেতাকর্মীকে আটক করা হয়েছে।
তারপরই বিক্ষোভ-কর্মসূচি স্থগিত ঘোষণা করে বিবৃতি দেয় পিটিআইয়ের মিডিয়া সেল।
আমারবাঙলা/এমআরইউ