আন্তর্জাতিক ডেস্ক: মধ্যপ্রাচ্যের ইসরায়েল-ফিলিস্তিনের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ তৃতীয় দিনে পা দিয়েছে। আর তার প্রভাবে আন্তর্জাতিক জ্বালানি তেলের বাজার অস্থিতিশীল হয়ে উঠেছে। বিশ্ববাজারে এরই মধ্যে অপরিশোধিত তেলের দাম চার শতাংশের বেশি বেড়েছে।
সিএনবিসি টিভি ১৮-এর প্রতিবেদন অনুসারে, সোমবার (৯ অক্টোবর) লেনদেনের শুরুতে এশীয় বাজারে অপরিশোধিত তেলের বেঞ্চমার্ক ব্রেন্টের দাম ৪ দশমিক ৯৪ শতাংশ বেড়ে ব্যারেলপ্রতি সর্বোচ্চ ৮৮ দশমিক ৭৬ মার্কিন ডলারে বিক্রি হয়েছে। অর্থাৎ দাম বেড়েছে প্রায় ৪ দশমিক ৯৪ শতাংশ।
বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, তিনদিন আগে (৬ অক্টোবর) এই তেলের দাম ব্যারেলপ্রতি ৮৪ দশমিক ৫৮ ডলার ছিল।
এদিন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েটেরও (ডব্লিউটিআই) দাম বেড়েছে। সোমবার এশীয় বাজারে ডব্লিউটিআই’র দাম ৪ দশমিক ২৩ ডলার বা ৫ দশমিক ১১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ব্যারেলপ্রতি ৮৭ দশমিক ০২ ডলারে পৌঁছেছে।
বিশ্ববাজারে চলতি বছরের গত ২৮ সেপ্টেম্বর ব্রেন্ট ক্রুডের দাম উঠেছিল ব্যারেলপ্রতি ৯৭ দশমিক ৬৯ ডলার, যা গত এক বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।
তবে, ইসরায়েল-ফিলিস্তিন যুদ্ধের প্রভাবে বিশ্বব্যাপী তেল সরবরাহ বিঘ্নিত হওয়ার যে ঝুঁকি তৈরি হয়েছে, তাতে অপরিশোধিত তেলের দাম আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
গত শনিবার থেকে এ পর্যন্ত হামাসের হামলায় অন্তত ৭০০ ইসরায়েলি নিহত হয়েছেন। আর গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের পাল্টা হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন প্রায় ৪১৩ ফিলিস্তিনি।
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু তার দেশে যুদ্ধ পরিস্থিতি ঘোষণা করেছেন এবং হামাসের বিরুদ্ধে ‘শক্তিশালী প্রতিশোধ’ নেওয়ার শপথ করেছেন। বিপরীতে, ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি হামাস প্রধানের কাছে ফোন করে ‘বিজয়ের’ জন্য শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
বার্তাসংস্থা রয়টার্স বলছে, হামাসের হামলা মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ককে কীভাবে প্রভাবিত করতে পারে, তা স্পষ্ট করে দিয়েছে দুই নেতার এই প্রতিক্রিয়া।
সংবাদ মাধ্যমটি প্রতিবেদনে লিখেছে, এই মুহূর্তে ঝুঁকি হলো, ইসরায়েল এই সিদ্ধান্তে উপনীত হতে পারে যে, হামাসের কার্যক্রমে ইরানের সক্রিয় অংশগ্রহণ ছিল এবং তার ফলে, ইসলামী দেশটির বিরুদ্ধে ইসরায়েলিরা গোপন অভিযান চালাতে পারে।
এবি/এইচএন