আন্তর্জাতিক ডেস্ক: দক্ষিণ এশিয়ার রাজনৈতিক সংকটপূর্ণ দেশ পাকিস্তানের বহুল আলোচিত জাতীয় ও প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচনের ভোট গ্রহণ শেষে চলছে ভোট গণনা। প্রাপ্ত ফলাফলে ইমরান খানের দলের প্রার্থীরা এগিয়ে রয়েছে।
শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) নির্বাচনের ভোট গণনা ও ফল ঘোষণার মাধ্যমে এমন ইঙ্গিত পাওয়া গেছে।
নির্বাচনের আগে ইমরান খানকে একাধিক মামলায় কারাদণ্ড দিয়ে কারাগারে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। তাকে নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করে সুপ্রিম কোর্ট।
সেনাবাহিনীর প্রভাবের কারণে ইমরান খানের দল পিটিআইয়ের দলীয় প্রতীক বাতিল করা হয়। এর ফলে পিটিআইয়ের নেতাদের স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে লড়তে হয়েছে নির্বাচনে।
পাকিস্তানের জাতীয় নির্বাচনে ২১২টি আসনের ফলাফল জানা গেছে। রাত ৭টা পর্যন্ত প্রাপ্ত ফলাফলে এতে এগিয়ে আছেন স্বতন্ত্রপ্রার্থীরা। যাদের অধিকাংশই কারারুদ্ধ সাবেক প্রধানমন্ত্রী পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) নেতা ইমরান খান সমর্থিত। এই স্বতন্ত্রপ্রার্থীদের বিজয়ের সঙ্গে সঙ্গে ব্যবধান বাড়ছে সাবেক আরেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের দল মুসলিম লীগ-নওয়াজের (পিএমএল-এন)।
জিও নিউজ জানিয়েছে, ২৬৫ আসনের মধ্যে এ পর্যন্ত ২০৪টি আসনের ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। এর মধ্যে স্বতন্ত্রপ্রার্থীরা ৯০টি আসনে জয়লাভ করেছে। অন্যদিকে, পিএমএল-এন ৬০টি আসন পেয়েছে। আর পিপিপি ৪৮টি, এমকিউএম-পি আটটি, আইপিপি, পিএমএল ও জেইউআই দুটি করে মোট ছয়টি আসন পেয়েছে।
শুক্রবার ১০টার মধ্যে নির্বাচন কমিশনের ফল ঘোষণা শেষ করার কথা ছিল। তবে নির্বাচনে ইমরানের দলের প্রার্থীদের জয়ের খবর আশা শুরু করলে ফল ঘোষণা গতি ধীর করে দেয় নির্বাচন কমিশন।
পর রাত ৩টা নাগাদ প্রথম চারটি ফলাফল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। তারপর থেকেই ফল প্রকাশের বিলম্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
যদিও ভোটগণনার সঙ্গে যুক্ত কর্মকর্তারা বলেছেন, ইন্টারনেট সমস্যার জন্য ভোটগণনার ক্ষেত্রে এত দেরি হয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ভোটের সময় নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেই ইন্টারনেট ও মোবাইল পরিষেবা বন্ধ করে রাখা হয়েছিল।
এবি/এইচএন