নজরুল ইসলাম, ইবি: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে এক শিক্ষার্থীকে শ্বাসরোধ ও চোখ-মুখ বন্ধ করে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে ২ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে। ভুক্তভোগী বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী আবু জাহেদ।
গত বৃহস্পতিবার দুপুর ৩ টায় ক্যাম্পাস থেকে কুষ্টিয়া যাওয়ার সময় বাসের সিটে বসাকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীদের বিচার চেয়ে লিখিত অভিযোগ দিয়েছে ভুক্তভোগী।
অভিযুক্তরা হলেন- উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের রতন রায় ও রিহাব রেদোওয়ান। তারা উভয়ই শাখা ছাত্রলীগের কর্মী ও সভাপতি ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাতের অনুসারী বলে জানা গেছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার ক্যাম্পাস থেকে কুষ্টিয়ায় যাওয়ার জন্য দুপুর ৩ টার বাসে উঠেন ভুক্তভোগী। তিনি একটা সিটে বসে ছিলেন। তারপাশে অভিযুক্ত শিক্ষার্থী রতন বসেছিলেন। পরে রতন নিচে গিয়ে কয়েকজন বন্ধ-বান্ধব নিয়ে পুনারায় সিটে বসতে আসে।
এ সময় তারা ভুক্তভোগীকে পাশের সিটে সরে যেতে বললে তিনি অস্বীকৃতি জানায়। এ সময় উভয়ের মাঝে বাকবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে রতন তার গলা টিপে ধরে রাখে। সেই সাথে তার বন্ধু রিহাব রেদোওয়ান তার চোখে আঙ্গুল ঢুকিয়ে দেয়।
পরে বাসের সবাই তাকে ছাড়িয়ে নেয়। এভাবে আর ৯ বা ১০ সেকেন্ড থাকলে তার মৃত্যু হতো বলে অভিযোগে বলা হয়।
অভিযুক্ত রতন রায় বলেন, যেসব অভিযোগ করা হয়েছে সেগুলো সম্পূর্ণ মিথ্যা। যদি তার গলা টিপে বা চোখ আঙ্গুল দেয়া হতো তাহলে সেটার চিহ্ন থাকার কথা। অভিযোগের সত্যতার বিষয়ে সে প্রমাণ দেখাতে পারবে?
অপর অভিযুক্ত রিহাব রেদোওয়ান বলেন, তার এসব অভিযোগের কোনো সত্যতা নেই। মূলত বাসের পেছনের সিটে দুইটি মেয়ে বসেছিল। আর জাহেদ দুইজনের মাঝখানে বসে ছিল।
তাই আমরা তাকে পাশে সরে যেতে বললাম। একপর্যায়ে তার সাথে আমাদের বাকবিতণ্ডা হয়। পরিস্থিতি খারাপ পর্যায়ে চলে যাবে ভেবে আমি তাকে গলার কলার ধরে বাসের উপর তলায় পাঠিয়ে দিই।
ভুক্তভোগী আবু জাহেদ বলেন, ওরা বাসে উঠে আমাকে সরে যেতে বললে আমি অস্বীকৃতি জানাই। একপর্যায়ে তারা আমার গলা টিপে ধরে এবং মুখ ও চোখে হাত দিয়ে রাখে। এভাবে প্রায় ৫ মিনিট ধরে আমাকে শ্বাসরোধ অবস্থায় রাখে। আমার গলায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদ বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। সার্বিক ঘটনার প্রেক্ষিতে আজ দুপুর সাড়ে ১২ টায় মিটিং আছে। সেখানে এ বিষয়ে আমরা আলোচনা করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেব।
এবি/এইচএন