ইউক্রেনে শান্তি চায় না ইউরোপ। এমনকি ইউক্রেনে উত্তেজনা বৃদ্ধি করা এবং যুদ্ধ দীর্ঘায়িত করাই ইউরোপীয় দেশগুলোর মূল লক্ষ্য বলেও মন্তব্য করেছে রাশিয়া।
শুক্রবার (১৪ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) রাশিয়া ইউরোপীয় দেশগুলোর বিরুদ্ধে ইউক্রেনে শান্তি প্রচেষ্টায় বাধা দেওয়ার অভিযোগ এনেছে। দেশটি দাবি করেছে, তাদের (ইউরোপীয় দেশগুলোর) লক্ষ্য হচ্ছে-উত্তেজনা বৃদ্ধি করা এবং যুদ্ধ আরও দীর্ঘায়িত করা।
আনাদোলুর এক প্রশ্নের জবাবে রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা বলেছেন, জার্মানি এবং ফ্রান্স পূর্ব ইউক্রেনের ওপর ২০১৪-২০১৫ সালের মিনস্ক চুক্তি লঙ্ঘনের কথা প্রকাশ্যে স্বীকার করেছে। অন্যদিকে, ব্রিটেন ২০২২ সালের মার্চ মাসে ইউক্রেনকে রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনা করা থেকে নিরুৎসাহিত করেছে।
মস্কোর এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি জোর দিয়ে বলেন, এই দেশগুলো ইউক্রেনীয় সংকট সমাধানের জন্য কোনো প্রচেষ্টা করেনি, যা ইউক্রেন সম্পর্কে তাদের অবস্থানকে অপ্রাসঙ্গিক করে তুলেছে।
তিনি বলেন, ‘যদি তারা তাদের মৌলিক দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করে-যা বর্তমানে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনা এবং রুশোফোবিয়ার ওপর ভিত্তি করে তৈরি-তাহলে আমরা এটি বিবেচনা করব। কিন্তু আপাতত, তাদের উন্মত্ত অবস্থান বিবেচনা করার কোনো ভিত্তি নেই।’
জাখারোভা আরো দাবি করেছেন, ইউরোপীয় দেশগুলো সক্রিয়ভাবে সংকটের শান্তিপূর্ণ সমাধানের বিরোধিতা করছে। ইউরোপের কিছু রাজনৈতিক শক্তি ইচ্ছাকৃতভাবে আলোচনা শুরু করার যেকোনো প্রচেষ্টাকে বাধা দিচ্ছে বলেও ইঙ্গিত দেন তিনি।
রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এই মুখপাত্র বলেন, তারা (ইউরোপীয় দেশগুলো) ‘শান্তি’ এবং ‘সমাধান’ শব্দগুলো নিয়েই অস্বস্তিতে রয়েছে। তারা এটি চায়ই না। তাদের লক্ষ্য হলো উত্তেজনা বৃদ্ধি করা এবং যুদ্ধ দীর্ঘায়িত করা। (ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির) জেলেনস্কি এবং তাকে সমর্থনকারী ইউরোপীয় নেতারা ইউক্রেনে আরও অস্ত্র সরবরাহের জন্য চাপ অব্যাহত রেখেছেন।
ইউরোপ ইউক্রেনে শান্তিরক্ষী পাঠানোর কথা ভাবছে এমন খবরের বিষয়ে জাখারোভা সতর্ক করে দিয়ে বলেন, যেকোনো অজুহাতে (ইউক্রেনে) বিদেশি সামরিক ইউনিট বা ঘাঁটি মোতায়েনের বিষয়টি হবে একেবারে অগ্রহণযোগ্য।
আমারবাঙলা/জিজি