আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় শহর কোস্ত্যন্তিনিভকায় ব্যস্ত বাজারে হামলার ঘটনায় শিশুসহ কমপক্ষে ১৭ জন নিহত হয়েছেন। এ সময় আরও কমপক্ষে ৩৩ জন আহত হয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
সংবাদ মাধ্যমটি বলছে, ইউক্রেনের শান্তিপূর্ণ শহর কোস্ত্যন্তিনিভকাতে ইচ্ছাকৃত হামলার নিন্দা করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি।
বুধবার (৬ সেপ্টেম্বর) দুপুর ২ টার দিকে ঐ শহরের একটি ব্যস্ত বাজারের রাস্তায় ঘটে যাওয়া বিস্ফোরণে এক শিশুসহ কমপক্ষে ১৭ জন নিহত হয়েছেন।
হামলার শিকার এই শহরটি ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় দোনেৎস্ক অঞ্চলে যুদ্ধে ফ্রন্টলাইনের কাছাকাছি অবস্থিত। সোশ্যাল মিডিয়ার ছড়িয়ে পড়া বেশ কিছু ভিডিওতে শহরের একটি রাস্তার শেষ প্রান্তে বিস্ফোরণ হতে দেখা যায়। সেখানে লোকেরা কেনাকাটা করছিল।
যদিও এই হামলার বিষয়ে এখনো কোনো মন্তব্য করেনি রাশিয়া।
তবে এ হামলার জন্য রাশিয়াকে দোষারোপ করে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেন, নিহত ব্যক্তিদের কোনও ভুল ছিল না। এছাড়া মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলেও সতর্ক করেন তিনি।
এ হামলায় আরও কমপক্ষে ৩৩ জন আহত হয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। জানা গেছে, হামলার শিকার ঐ বাজারে সেখানকার ফার্মেসি এবং দোকানগুলোর সবই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে হামলার জেরে সৃষ্ট আগুন এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
বুধবার কোস্ত্যন্তিনিভকা শহরের ব্যস্ত রাস্তায় এ হামলার কয়েক ঘণ্টা পর ইউক্রেনের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ইহোর ক্লাইমেনকো বলেন, অনুসন্ধান ও উদ্ধার অভিযান শেষ হয়েছে।
জেলেনস্কি এ হামলাকে পুরোপুরি অমানবিক বলে বর্ণনা করেছেন। এ ঘটনায় তার স্ত্রী ওলেনা জেলেনস্কা বলেছেন, এ হামলা রাশিয়ার ভয়াবহ নিষ্ঠুরতাকেই সামনে এনেছে।
হামলার ঘটনায় ইউক্রেনের প্রসিকিউটর জেনারেল তদন্ত শুরু করেছে। তার কার্যালয় বলছে, আইন ও যুদ্ধের রীতিনীতি লঙ্ঘনের জন্য ফৌজদারি কার্যক্রম অনুসরণ করছে তারা। এক বিবৃতিতে বলা হয়, রাশিয়ান ফেডারেশনের সংঘটিত যুদ্ধাপরাধ রেকর্ড করার জন্য প্রসিকিউটররা সম্ভাব্য এবং যথাযথ ব্যবস্থা নিচ্ছেন।
রাশিয়ার কর্মকর্তারা এখনো এ হামলার বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি। তবে বেসামরিক নাগরিকদের হামলার লক্ষ্যবস্তু করার বিষয়টি বরাবরই অস্বীকার করে এসেছে দেশটি।
টানা দেড় বছরের বেশি সময় ধরে ইউক্রেনে যুদ্ধ চলছে। তবে দেশটিতে এ ধরনের হামলার ঘটনা বেশ বিরল বলেই মনে করা হয়।
এবি/এইচএন