আমার বাঙলা ডেস্ক: সৃষ্টিকর্তার ঐকান্তিক চাওয়ায় পৃথিবীতে কিছু কিছু মানুষ জন্ম নেন যারা নিজ মেধা, সততা একনিষ্ঠতার আলোয় সমাজকে আলোকিত করেন, দেশকে সমৃদ্ধ করেন। যুগে যুগে এমন তরুণ হরহামেশাই দেখা মেলে, যাদের দেশপ্রেম একাগ্রতা সততা, মানবতা, চারিত্রিক দৃঢ়তা ও ত্যাগের আদর্শ ফুলের সুবাসে সমাজ নামক বাগানকে সুরভিত করে। তেমনি একজন আদর্শবান তরুণ মিডিয়াকর্মী নূর মোহাম্মাদ রাজ্য। ঢাকার সাংস্কৃতিক মিডিয়া অঙ্গনের পরিচিতি মুখ নুর মোহাম্মদ রাজ্য। রাজ্য মাল্টিমিডিয়ার কর্ণধার রাজ্য। বর্তমান সময়ে যারা সামাজিক উন্নয়ন এবং দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন নিয়ে ভাবেন তেমনি একজন নিখাদ মানবিক মানুষ রাজ্য।
অতি সম্প্রতি তিনি গুরুত্বপূর্ণ একটি সমাজসেবামূলক কাজের জন্য আলোচনায় এসেছেন। জানা গেছে টাঙ্গাইলের ভিতর দিয়ে প্রবাহমান লৌহজং নদী। নদীটি দীর্ঘদিন ধরেই দূষণের কবলে পড়ে তার ঐতিহ্য হাড়িয়েছিল। সেই ঐতিহ্যবাহী নদিটি দুষণমুক্ত করতে এ বিষয় পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা অভিযানে নেতৃত্ব দেন তিনি। একাজে তাকে বিডি ক্লিন সংগঠনের প্রায় দুই হাজার স্বেচ্ছাসেবীকে সাথে নিয়ে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে কাজ করেছেন। মহতি এই উদ্যোগে সহযোগিতা দেয় জেলা প্রশাসন।
টাঙ্গাইলের গর্ব তারুণ্যের অহংকার রাজ্য। এই তরুণ বয়সে একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে সমাজসেবামূলক কাজে জড়িয়ে গেলেও সংস্কৃতিকর্মী রাজ্যর অনেক প্রতিভা। তার মধ্যে গান লেখা, গান গাওয়া, গান সুর করা, অভিনয়, নাটক রচনা, কবিতা আবৃত্তিসহ নানা প্রতিভার অধিকারী তিনি। অসংখ্য নাটক টেলিফিল্মে অভিনয় এবং প্রযোজনা করে ব্যপক প্রশংসিত হয়েছেন তিনি। হবেইবা না কেন। তার বাবাও ছিলেন সংস্কৃতিমনা। সংস্কৃতি সমৃদ্ধ বাবার যোগ্য উত্তরসুরী রাজ্য। অনেকের কাছেই অজানা। কথা ও কাজে, আচার ও ভূষণে, বিনয় ও চারিত্রিক দৃঢ়তায়, আদর্শে ও নীতিতে, কঠিন সত্যির মুখোমুখিতে নির্ভীক একজন মানবিক যোদ্ধা নুর মোহাম্মদ রাজ্য। সুদীর্ঘ জীবনের পথ পরিক্রমায় বিভিন্ন ভূমিকায় তাঁর পথচলা। কাজ করে যাচ্ছেন টাঙ্গাইলকে প্রধানমন্ত্রীর দেয়া ঘোষিত সাংস্কৃতিক নগরির বাস্তবায়ন রূপ দেওয়ার। তারই ধারাবাহিকতায় টাঙ্গাইলের সন্তোষে রাজ্য সিনেপ্লেক্স নির্মাণাধীন।
সমাজের উন্নয়নমূলক প্রতিটি কাজের ক্ষেত্রে তিনি অনন্য সাধারণ। নিয়মানুবর্তিতা তাঁর বিশেষ গুণ। শুদ্ধ জীবনাচরণে, নৈতিকতায়, কথার পাণ্ডিত্যে মনে হয় তিনি যেন বিবেকের কণ্ঠস্বর। মানুষকে বড়ো করে দেখা তাঁর বিশেষ গুণ। তাঁর বিশাল ব্যক্তিত্বের কাছে গেলে মনে হয় এক বটবৃক্ষের ছায়া। সাহিত্য, শিল্প, দর্শন, বিজ্ঞান, মানবতাবাদ যেন তাঁর। চরিত্রে মিলেমিশে একাকার। অভিজাত নম্রতায় তিনি এই শহরের প্রাণ। তিনি এমন এক মানুষ যিনি নক্ষত্রের মতো টাঙ্গাইলের লৌহজং নদীসহ অন্যান্য সামাজিক কাজে নিজেকে যুক্ত রেখে আলোকিত করেছেন। সংস্কৃতিচর্চার পাশাপাশি সমাজসেবামূলক কাজের মাধ্যমেও নিজেকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন রাজ্য। এভাবেই দেশের উন্নয়নে সমাজসেবামূলক কাজে এগিয়ে যাবে তরুণরা। সেই প্রত্যাশা সংশ্লিষ্টদের।
এবি/এইচএন