আর্জেন্টিনা-প্যারাগুয়ে ম্যাচ প্রায় শেষ; মাত্র কয়েক মিনিট বাকি। প্যারাগুয়ের বিপক্ষে আর্জেন্টিনা পিছিয়ে ৩-২ গোলে। এর মধ্যেই গ্যালারির ছোট একটি অংশে শুরু হয়ে গেল হলুদ জার্সি পরা একদল খেলোয়াড়ের উল্লাস আর উদ্যাপন। আর্জেন্টিনা ম্যাচের শেষ বাঁশি বাজার পর যা পরিণত হয় শিরোপাজয়ের উচ্ছ্বাসে।
আর্জেন্টিনাকে পেছনে ফেলে আবারো দক্ষিণ আমেরিকান অনূর্ধ্ব-২০ চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জিতল ব্রাজিল। এ নিয়ে টানা দ্বিতীয় এবং সব মিলিয়ে ১৩তমবার দক্ষিণ আমেরিকা মহাদেশের বয়সভিত্তিক টুর্নামেন্টটির ট্রফি জিতল সেলেসাওরা। অথচ এবারের আসরে ব্রাজিলের শুরু ছিল মর্মান্তিক।
চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী আর্জেন্টিনার কাছ থেকে ৬ গোল খেয়ে শুরু করেছিল ব্রাজিল। সেই ম্যাচে ব্রাজিলের দুর্দশা দেখে সম্ভাব্য শিরোপাজয়ী দলের তালিকা থেকে অনেকেই কেটে দিয়েছিল তাদের নাম। বিপরীতে আর্জেন্টিনাকে অনেকেই তখন সম্ভাব্য চ্যাম্পিয়ন হিসেবে দেখা শুরু করেছিলেন। কিন্তু উত্থান-পতনের নাটকীয়তায় সেই আর্জেন্টিনাকে হতাশায় ডুবিয়ে শিরোপা জিতেছে ব্রাজিলই।
চূড়ান্ত পর্বে প্রথম ৪ ম্যাচ শেষে ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনা দুই দলেরই পয়েন্ট ছিল ১০ করে। ফলে শেষ ম্যাচ দিয়েই শিরোপা নির্ধারণের অপেক্ষায় ছিল দুই দল।
ভেনেজুয়েলার জোসে অ্যান্তনিও স্টেডিয়ামে রবিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) রাতে প্রথমে ব্রাজিল মুখোমুখি হয় চিলির। ম্যাচের ৭২ মিনিট পর্যন্ত ব্রাজিল অবশ্য বেশ চাপেই ছিল। তবে শেষ ১৭ মিনিটে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ায় দলটি। ৭৩ থেকে ৮৮ মিনিটের মধ্যে তিন গোল করে ম্যাচ জিতে নেয় ৩-০ ব্যবধানে।
ব্রাজিলের হয়ে গোল করেন ডেভিড ওয়াশিংটন, পেদ্রো এবং রিকার্ডো ম্যাথিয়াস। এই জয়ের ফলে আর্জেন্টিনার চেয়ে তিন পয়েন্টে এগিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি (+৪) গোলেও এগিয়ে থাকে ব্রাজিল।
ব্রাজিল-চিলি ম্যাচের পর কিছুক্ষণ পর একই মাঠে খেলতে নামে আর্জেন্টিনা-প্যারাগুয়ে। শিরোপা জিততে এই ম্যাচে জয় তো দরকার ছিলই, অন্তত ৪ গোলের ব্যবধানও নিশ্চিত করতে হতো আর্জেন্টিনার। কিন্তু এমন কঠিন সমীকরণে কারণে ম্যাচের শুরুতেই যেন মানসিক চাপে পড়ে যায় দলটি। প্রথমার্ধ শেষ হয় ১-০ গোলে পিছিয়ে থেকে। এই অবস্থায় আর্জেন্টিনার শিরোপা জেতার আশা একরকম শেষই হয়ে যায়। শেষ পর্যন্ত ৩-২ ব্যবধানে হেরে গেছে আর্জেন্টিনা। ফলে গোল ব্যবধানে নয়, ৩ পয়েন্টে এগিয়ে থেকে শিরোপা জিতেছে ব্রাজিল।
আমারবাঙলা/এমআরইউ