আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস ইসরায়েলের ১৩ বন্দিসহ আরও ১৭ বন্দিকে মুক্তি দিয়েছে। মুক্তি পাওয়া অন্য ৪ বন্দি থাইল্যান্ডের নাগরিক। ৪ দিনের চলমান যুদ্ধবিরতি চুক্তির আওতায় ২য় দিনে তাদের মুক্তি দেওয়া হয়েছে।
রোববার (২৬ নভেম্বর) সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে। যদিও ২য় দফায় এই মুক্তি নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছিল। বেশ কয়েক ঘণ্টার বিলম্বের পর ঐ ১৭ জনকে মুক্তি দেয় হামাস।
প্রতিবেদনে বলা হয়, হামাস ১৩ ইসরায়েলি বন্দি ও ৪ জন থাই নাগরিককে ৭ ঘণ্টা বিলম্বের পরে ইন্টারন্যাশনাল কমিটি অব রেড ক্রসের (আইসিআরসি) কাছে হস্তান্তর করেছে। ইসরায়েল চলমান যুদ্ধবিরতির একটি শর্ত লঙ্ঘন করেছে বলে হামাস অভিযোগ তোলার পর বন্দি মুক্তিতে ওই বিলম্ব হয়েছে।
কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাজেদ আল-আনসারি সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে জানিয়েছেন, ১৩ ইসরায়েলি ও ৪ বিদেশি নাগরিককে আইসিআরসি-তে হস্তান্তর করা হয়েছে। তারা ইসরায়েলে যাওয়ার আগে দক্ষিণ গাজা ও মিশরের মধ্যবর্তী রাফাহ সীমান্তের দিকে যাচ্ছেন।
পরে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী এক্সে দেওয়া এক পোস্টে বলছে, ১৭ জন বন্দি ইসরায়েলে পৌঁছেছে। তারা জানিয়েছে, ‘তারা প্রাথমিক স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা মূল্যায়নের পর আইডিএফ (ইসরায়েলি সেনাবাহিনী) সৈন্যদের সাথে থাকবে ও পরে তাদের ইসরায়েলি হাসপাতালে নেওয়া হবে। তারা সেখানে তাদের পরিবারের সাথে পুনরায় মিলিত হবে।’
আল জাজিরার হামদাহ সালহুত অধিকৃত পূর্ব জেরুজালেম থেকে বলছে, সর্বশেষ মুক্তি পাওয়া এ ১৭ জনকে ‘প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য দক্ষিণ ইসরায়েলের একটি বিমানঘাঁটিতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তাদের অতিরিক্ত চিকিৎসা ও মানসিক পরীক্ষার জন্য সেখান থেকে তেল আবিব এলাকার বিভিন্ন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হবে।’
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়, মুক্তি পাওয়া ইসরায়েলি বন্দিদের মধ্যে ৬ জন প্রাপ্তবয়স্ক নারী ও ৭ জন শিশু ও কিশোর রয়েছে। এতে আরও বলা হয়েছে ৫০ দিন বন্দি থাকার পর তাদের মুক্তি দেওয়া হয়েছে।
গত শুক্রবার ইসরায়েলের সঙ্গে হামাসের ৪ দিনের যুদ্ধবিরতি শুরু হয়। বিরতির ১ম দিন তারা ১৩ ইসরায়েলিসহ ২৪ বন্দিকে মুক্তি দেয়। শনিবার তাদের আরও ১৪ জনকে মুক্তি দেওয়ার কথা ছিল। তবে হামাসের সামরিক শাখা আল-কাসেম বিগ্রেডস শনিবার নতুন ঘোষণা দেয়, বন্দিদের ফিরিয়ে নিতে হলে গাজার উত্তরাঞ্চলেও ত্রাণবাহী ট্রাক প্রবেশ করতে দিতে হবে।
এবি/এইচএন