ব্রাজিলিয়ান তারকা ফুটবলার নেইমারের ইনজুরি নিয়ে দুশ্চিন্তা যেন কিছুতেই কাটছে না। গত বছর এসিএল ইনজুরিতে পড়ার পর দীর্ঘ এক বছর মাঠের বাইরে থাকতে হয়েছে নেইমার জুনিয়রকে। গত মাসেই ফিরেছেন এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ম্যাচ দিয়ে। অনেকেই তখন আরো একবার মাঠে নেইমারের ফেরা উদযাপনের অপেক্ষায় বসেছিলেন। তখনই আবার ইনজুরিতে পড়লেন তিনি।
সোমবার (৪ নভেম্বর) এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগের খেলায় ইস্তেঘাল এফসিকে ৩-০ গোলে হারিয়েছে আল হিলাল। সার্বিয়ান তারকা আলেক্সান্দার মিত্রোভিচের হ্যাটট্রিকে বড় জয় পায় তারা। তবে বড় জয়ের দিনেও আল হিলালের জন্য হতাশার কারণ নেইমারের ইনজুরি।
গত ২১ অক্টোবর এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগে আল আইনের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে মাঠে ফিরেছিলেন ব্রাজিলের জার্সিতে সর্বোচ্চ গোল করা নেইমার। সোমবার একই টুর্নামেন্টে দ্বিতীয় ম্যাচ খেলতে মাঠে নামেন এই ব্রাজিলিয়ান তারকা। ম্যাচের ৫৮ মিনিটে বদলি হিসেবে নেমেছিলেন তিনি।
তবে মাঠে ফেরাটা সুখকর হয়নি তার জন্য। ৩০ মিনিটও খেলতে পারেননি তিনি। তার আগেই ডান পায়ের পেছনের দিকে চেপে ধরে শুয়ে পড়েন মাঠে। বাধ্য হয়ে আল হিলালের কোচ তাকে মাঠ থেকে তুলে নেন। এক বছর পর মাঠে ফিরে দুই ম্যাচ মিলিয়ে মাত্র ৪৭ মিনিট খেলেই ফের ইনজুরিতে পড়লেন এই সুপারস্টার।
জানা গেছে, উরুর ইনজুরিতে পড়েছেন নেইমার। তবে তার এই ইনজুরি কতটা মারাত্মক তা এখনো পরিষ্কার নয়। ফলে মাঠে ফিরতে তার ঠিক কতদিন লাগবে তাও নিশ্চিত নয়। সাধারণ মাংসপেশির চোটে অবশ্য তিন থেকে চার সপ্তাহের জন্যই মাঠের বাইরে থাকতে হয় খেলোয়াড়দের।
তবে নেইমার তার সমর্থকদের আশ্বস্ত করছেন। ম্যাচের পর ইনস্টাগ্রামের স্টোরিতে লিখেছেন, 'আশা করি, এটা বড় কিছু নয়...এটি স্বাভাবিক যে এক বছর পর মাঠে নামলে এমনটি হয়, চিকিৎসক আমাকে আগেই সতর্ক করেছিল, তাই আমার সতর্ক থাকতে হবে এবং আরো বেশি মিনিট খেলতে হবে।'
সৌদি প্রো লিগের স্কোয়াডে না থাকায় আগামী দুই ম্যাচ নেইমার এমনিতেও খেলতে পারতেন না। নেইমারের ভাষ্য অনুযায়ী, খুব বড় ইনজুরিতে তাকে পড়তে হয়নি। সেক্ষেত্রে আগামী ২৬ নভেম্বর এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগে আল সাদের বিপক্ষে ম্যাচে দেখা যেতে পারে তাকে।
আমারবাঙলা/এমআরইউ