আন্তর্জাতিক ডেস্ক: আফগানিস্তানে শক্তিশালী ভূমিকম্পের ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২ হাজারে দাঁড়িয়েছে। ফলে গত ২ দশকের মধ্যে এটি হয়ে উঠেছে দেশটিতে আঘাত হানা অন্যতম প্রাণঘাতী ভূমিকম্প।
রোববার (৮ অক্টোবর) তালেবান প্রশাসনের এক মুখপাত্রের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা এপি এ তথ্য জানিয়েছে। এর আগে শনিবার (৭ অক্টোবর) স্থানীয় সময় বেলা ১১ টার দিকে দেশটির পশ্চিমাঞ্চলে আঘাত হানে ৬.৩ মাত্রার এ ভূমিকম্প।
মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) বলছে, হেরাত শহর থেকে ৪০ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ছিল। এলাকাটিতে পরপর আরও ৪ টি আফটারশক আঘাত হানে। রিখটার স্কেলে সেগুলো যথাক্রমে ৫.৫, ৪.৭, ৬.৩ ও ৫.৯ মাত্রার ছিল।
আফগান তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আবদুল ওয়াহিদ রায়ান এপিকে জানিয়েছেন, হেরাতে ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা প্রাথমিকভাবে পাওয়া তথ্যের চেয়ে অনেক বেশি।
এ সময় জরুরি সাহায্যের আহ্বান জানিয়ে তিনি আরও বলেন, প্রায় ৬ টি গ্রাম ধ্বংস হয়ে গেছে। এছাড়া শত শত বেসামরিক লোক ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়েছে।
আফগান প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে প্রাথমিকভাবে জানানো হয়েছে, ভূমিকম্পে শতাধিক মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন এবং আহত হয়েছে ৫০০ জনেরও বেশি।
জাতিসংঘের মানবিক বিষয়ক সমন্বয় কার্যালয়ের প্রতিবেদনে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছিল, ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা ৩২০ জন হতে পারে।
তবে বিলাল করিমি নামে এক আফগান কর্মকর্তা আজ বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানান, দুর্ভাগ্যবশত হতাহতের সংখ্যা অনেক বেশি। মারা গেছে ১ হাজারেরও বেশি মানুষ।
অর্থাৎ প্রতিটি সূত্রই হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করেছিল।
প্রসঙ্গত, হেরাত শহরটি ইরান সীমান্ত থেকে ১২০ কিলোমিটার পূর্বে অবস্থিত। শহরটিকে আফগানিস্তানের সাংস্কৃতিক রাজধানী বলা হয়। সেখানে বসবাস করে প্রায় ১৯ লাখ মানুষ।
এর আগে চলতি বছরের জুনে দেশটির পাকতিকা প্রদেশে ৫.৯ মাত্রার এক ভূমিকম্পে প্রাণ হারান ১ হাজারের বেশি মানুষ।
এবি/এইচএন