আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য সাবেক মন্ত্রী শাজাহান খান আদালতে ভেংচি কেটে হাসাহাসি করেছেন বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মো. ওমর ফারুক ফারুকী।
সোমবার (২১ এপ্রিল) ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে তাকে তোলা হলে তিনি এ কাণ্ড ঘটান।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী গণমাধ্যমকে বলেন, ‘শাজাহান খান আজও আদালতে ভেংচি দিচ্ছিলেন এবং হাসাহাসি করছিলেন। কারণ, তারা খুব নির্লজ্জ। ১৫ বছর মানুষকে গুম, খুন করেছে। অথচ তা নিয়ে তাদের কোনো অনুশোচনা নেই। হত্যাকারী হিসেবে তারা এডিক্টেড হয়ে গেছেন। তাই তাদের লজ্জা নেই।’
মো. ওমর ফারুক ফারুকী আরো বলেন, ‘তবে তারা হাসুক বা পুলিশকে ধমক দিক, এতে তারা নিজেদের ফ্যাসিস্ট হিসেবে প্রমাণ করছে। তাদের বিচার হবে। যেদিন ফাঁসি হবে সেদিনও তারা হাসাহাসি করবেন। কিন্তু, সেদিন তারা এগুলোর জবাব পাবেন।’
এর আগে রবিবার (২০ এপ্রিল) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির করার হ্যান্ডকাফ পরানো নিয়ে পুলিশ সদস্যদের হুমকি দেয়ার অভিযোগ উঠেছে শাজাহান খানের বিরুদ্ধে।
এ ঘটনার জেরে বিচারকাজ শুরুর আগে, ট্রাইব্যুনালে হাজির হওয়ার সময় শাহজাহান খান তার হাতে হ্যান্ডকাফ দেখিয়ে বিচারকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
তিনি বলেন, ‘আমি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা, আমাকে হ্যান্ডকাফ পরানো হয়েছে। এটা আমার জন্য অমর্যাদাকর।’ তার আইনজীবীও এই বিষয়টি আদালতের কাছে তুলে ধরেন। এ সময় ট্রাইব্যুনালের বিচারক কী হয়েছে তা জানতে পুলিশ সদস্যদের ডেকে পাঠান।
পুলিশ সদস্য নুরুন্নবী ট্রাইব্যুনালকে জানান, পুলিশ সদর দফতরের নির্দেশনা অনুযায়ী আসামিদের এভাবে হাজির করা হয়।
তখন আরেক পুলিশ সদস্য শহীদুল বলেন, ‘প্রিজন ভ্যান থেকে নামানোর সময় তাদের রাজাকারের বাচ্চা বলা হয় এবং বলা হয় তোদের দেখে নেবো।’
আমারবাঙলা/জিজি