ছাত্র-জনতার আন্দোলনের শেষ দিন ৫ আগস্ট ঢাকার মিরপুরে মহিউদ্দিন নামে এক ব্যক্তিকে হত্যার অভিযোগে করা মামলার শুনানির এক পর্যায়ে কাঁদলেন এলাকার সাবেক সংসদ সদস্য ও সাবেক শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার।
সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জি. এম. ফারহান ইসতিয়াকের আদালত শুনানি নিয়ে মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেছে।
মামলায় বলা হয়, গত ৫ আগস্ট মিরপুর মডেল থানার সামনে আন্দোলন করছিল ছাত্র-জনতা। সেখান দিয়ে যাওয়ার পথে আসামিদের গুলিতে আহত হন মহিউদ্দিন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৮ আগস্ট মারা যান তিনি।
এ ঘটনায় তার মামাতো ভাই গত ১২ সেপ্টেম্বর মিরপুর মডেল থানায় হত্যা মামলাটি করেন।
মহিউদ্দিন হত্যা মামলার শুনানিতে কামাল আহমেদ মজুমদার আদালতের কাছে অনুমতি নিয়ে কিছু বলতে চান। আদালত তাকে সেই অনুমতি দেয়।
এসময় তিনি দাবি করেন, মিথ্যা মামলা দিয়ে তাকে হয়রানি-নির্যাতন করা হচ্ছে। সব সময় আন্দোলনকারীদের পক্ষে বলেছেন। শেখ হাসিনাকে বারবার দাবি মেনে নিতে বলায় গণভবনে যাওয়া নিষিদ্ধ ছিল।
কামাল মজুমদার বলেন, ‘এভাবে আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি, নির্যাতন করা হচ্ছে। এই সরকারকে উদ্দেশ করে বলতে চাই, দেশে আইনের শাসন থাকলে এমনটা হতো না। মামলা করছে, বাদীর খবর নেই। একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে নির্যাতন করছে।
পরিবারের সদস্যদেরও নির্যাতন করছে। তারা বাড়িতে থাকতে পারছে না। জায়গা-জমি দখল করে নিচ্ছে। মিথ্যা মামলা দিচ্ছে। আমি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা।’
এ সময় হাত উচিয়ে আদালতকে হাতকড়া দেখিয়ে তিনি বলেন, ‘এটাই কি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার অলংকার। এজন্যই কি দেশ স্বাধীন করেছিলাম।’ এ সময় কান্না করে দেন প্রায় ৭৫ বছর বয়সি এই রাজনীতিক।
শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের অন্যায়ের প্রতিবাদ করেছেন বলেও এসময় দাবি করেন দলটির মনোনয়নে কয়েকবার নির্বাচিত এই সংসদ সদস্য।
কামাল মজুমদার আদালতকে বলেন, ‘আমি কোনও অন্যায়, দুর্নীতি করিনি। অথচ আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়েছে। এর বিচার চাই। আদালতের প্রতি আমাদের সম্মান, শ্রদ্ধা রয়েছে। যারা মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন করছি।’
আমারবাঙলা/জিজি