বাণিজ্য ডেস্ক: নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজারে জাপানিজ অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনের জন্য অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের ব্যয় বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। একই সঙ্গে ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকায় পুলিশ সদস্যদের জন্য ৯টি আবাসিক টাওয়ার ভবন নির্মাণের ব্যয় বাড়ানো হয়েছে। এ বিষয়ে অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি।
বুধবার (৩ এপ্রিল) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সভাকক্ষে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সভাপতিত্বে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভায় এ অনুমোদন দেওয়া হয়। সভা শেষে এ সিদ্ধান্ত জানান মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সমন্বয় ও সংস্কার সচিব মো. মাহমুদুল হোসাইন খান।
তিনি বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে জাপানিজ অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনের জন্য অবকাঠামো উন্নয়ন’ প্রকল্পের পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের ভেরিয়েশন প্রস্তাবে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। প্রকল্পের পরামর্শক প্রতিষ্ঠান হিসেবে যৌথভাবে জাপানের নিপ্পন কোই কোম্পানি লিমিটেড এবং কোই রিচার্স অ্যান্ড কনসাল্টিং ইনকরপোরেশন সঙ্গে ১৭২ কোটি ১৭ লাখ ৯৭৯ টাকায় নিয়োগের চুক্তি করা হয়।
চুক্তি অনুসারে কাজ চলমানকালে বাস্তব অবস্থা বিবেচনায় ডিজাইন পরিবর্তন হওয়ায় ব্যয় বেড়েছে। ফলে ভেরিয়েশন বাবদ অতিরিক্ত ২৭ কোটি ৭ লাখ ৭১ হাজার ৩৬৬ টাকা ব্যয় বাড়ানোর প্রস্তাব আসে। এ ব্যয় বাড়ানোর প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি।
অপরদিকে ‘ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকায় পুলিশ সদস্যদের জন্য ৯টি আবাসিক টাওয়ার ভবন নির্মাণ’ প্রকল্পের পূর্ত কাজের ভেরিয়েশন প্রস্তাবে নিয়ে আসে গৃহায়ন ও ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়। এ প্রস্তাবও অনুমোদন দিয়েছে কমিটি।
প্রকল্পের আওতায় পূর্বাচল পুলিশ লাইনে ৬৫০ বর্গফুট আয়তনের ফ্ল্যাট বিশিষ্ট ২০-তলা ভবন এবং ১০০০ বর্গফুট আয়তনে ফ্ল্যাট বিশিষ্ট ২০-তলা ভবন নির্মাণ কাজের জন্য নূরানী কনস্ট্রাকশন লিমিটেডের সঙ্গে ১৫২ কোটি ৫৬ লাখ ৫০ হাজার ৮ টাকায় ক্রয়ের চুক্তি হয়। চুক্তি অনুসারে কাজ চলমান অবস্থায় টেন্ডারভুক্ত/টেন্ডার বহির্ভূত কিছু আইটেম হ্রাস/বৃদ্ধি হওয়ায় ভেরিয়েশন বাবদ অতিরিক্ত ১৩ কোটি ৭২ লাখ ৬৩ হাজার ৪৭৫ টাকা ব্যয় বৃদ্ধির প্রস্তাবে করা হয়। তার পরিপ্রেক্ষিতে এ ব্যয় বাড়ানোর অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া ‘চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার সদর উপজেলায় মহানন্দা নদী ড্রেজিং ও রাবার ড্যাম (দ্বিতীয় সংশোধিত)’ প্রকল্পের প্যাকেজ নম্বর -ডব্লিউপি-০১ এর পূর্ত কাজের ভেরিয়েশন প্রস্তাব নিয়ে আসে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়। এ প্রস্তাবটিও অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা কমিটি।
প্রকল্পের পূর্ত কাজ কাজ যৌথভাবে বিআইসি এবং এসএসআরআই’র সঙ্গে ১৫৫ কোটি ৪৩ লাখ ৩৫ হাজার ১৯৫ টাকায় ক্রয়ের চুক্তি করা হয়। চুক্তি অনুসারে কাজ চলমান অবস্থায় বাস্তব অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে নকশার পরিবর্তনের কারণে টেন্ডারভুক্ত/টেন্ডার বহির্ভূত’ কিছু আইটেম হ্রাস/বৃদ্ধি হওয়ায় ভেরিয়েশন বাবদ অতিরিক্ত ২৪ কোটি ৬১ লাখ ৯৭ হাজার ৩২০ টাকা ব্যয় বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়। তার পরিপ্রেক্ষিতে এ ব্যয় বাড়ানোর অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
এবি/এইচএন