সংগৃহীত
সারাদেশ

আট দিন ধরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা পঞ্চগড়ে

পঞ্চগড় প্রতিনিধি

দেশের উত্তরের জেলা হিমালয়কন্যা খ্যাত পঞ্চগড়ে টানা আট দিন সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বিরাজ করছে। সঙ্গে অব্যাহত আছে উত্তর পশ্চিম থেকে বয়ে আসা পাহাড়ি হিমেল বাতাস। রাত থেকে ভোর পর্যন্ত কুয়াশা থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দেখা দিচ্ছে ঝলমলে রোদ।

রাত থেকে ভোর পর্যন্ত ১০-১১ ডিগ্রির মধ্যে তাপমাত্রা থাকছে। অন্যদিকে দিনে তাপমাত্রা ২৮ থেকে ৩০ ডিগ্রির মধ্যে ওঠানামা করছে। আবহাওয়ার এমন পরিবর্তনের কারণে ছড়াচ্ছে শীতজনিত রোগ-বালাই।

বুধবার (৪ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় ১১ দশমিক চার ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।

এদিন সকালে দেখা গেছে, গরম কাপড় পড়ে প্রয়োজনীয় কাজে ছুটছেন জেলার মানুষ। অপরদিকে দিনের বেলা আবহাওয়া গরম থাকলেও সন্ধ্যা থেকে পরদিন সকাল পর্যন্ত অনুভূত হচ্ছে ঠান্ডা।

আবহাওয়া অফিস বলছে, আকাশ পরিষ্কার থাকায় কুয়াশা কম লক্ষ্য করা যাচ্ছে। একই সঙ্গে উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঠান্ডা বাতাস প্রবাহিত হচ্ছে।

এদিকে শনিবার (৩০ নভেম্বর) সকাল ৯টায় ১০ দশমিক তিন ডিগ্রি ও রবিবার (১ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় ১০ দশমিক পাঁচ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করে আবহাওয়া অফিস। সোমবার (২ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় ১০ দশমিক নয় ডিগ্রি, মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়।

তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের পর্যবেক্ষক রোকনুজ্জামান রোকন বলেন, বুধবার সকাল ৯টায় পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় ১১ দশমিক চার ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। মঙ্গলবার পর্যন্ত টানা আট দিন তেঁতুলিয়ায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রয়েছে। একই সঙ্গে দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকছে ২৭ ডিগ্রি থেকে ৩০ ডিগ্রির মধ্যে।

সবজি চাষী দারাজ উদ্দিন ও আমজাদ আলী জানান, দিনের বেলা গরম হলেও সন্ধ্যার পর থেকেই ঠান্ডা বাতাসের কারণে শীত অনুভব হতে থাকে। রাত বাড়তে থাকলে শীতের মাত্রাও বাড়তে থাকে। এমন শীত মনে হচ্ছে পৌষ মাস। ভোর পর্যন্ত কনকনে শীত থাকায় রাতে লেপ, কম্বল নিতে হয়। তবে সকাল ১০টার পর আর ঠান্ডা থাকে না। দিনে বেশ গরম এখনো। দুই রকম আবহাওয়ার কারণে প্রায় ঘরে ঘরে জ্বর-সর্দি, কাশিও শ্বাসকষ্টে ভুগছেন মানুষ।

বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, ঘন কুয়াশা আর হিমালয় থেকে বয়ে আসা হিমবাতাসে বেশ ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন ছিন্নমূল, খেটে খাওয়া, দিনমজুর ও গরিব মানুষ। অনেক এলাকায় আগুন জ্বালিয়ে শীত থেকে বাঁচার চেষ্টা করছেন কেউ কেউ। জীবিকার তাগিদে খেটে খাওয়া মানুষ এমন অবস্থার মধ্যেও কাজের সন্ধানে বের হচ্ছেন।

এদিকে শীতের তীব্রতা বাড়ায় জেলা ও উপজেলার হাসপাতালগুলোর বহির্বিভাগে প্রতিনিয়তই সর্দি, কাশি, নিউমোনিয়া ও শ্বাসকষ্টজনিত রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। বিশেষ করে শিশু ও বৃদ্ধ মানুষের সংখ্যা বেশি। হাসপাতালে প্রতিদিন রোগীরা চিকিৎসা নিচ্ছেন। যারা বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ছেন তারাই কেবল হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন।

আমারবাঙলা/এমআরইউ

Copyright © Amarbangla
সবচেয়ে
পঠিত
সাম্প্রতিক

শেখ পরিবারের নাম ভাঙিয়ে জমি দখল ও সন্ত্রাসের অভিযোগ

খুলনা জেলার আলোচিত ভূমিদস্যু সালাম খান তার প্রভাব...

নিন্দা জানিয়ে  মুক্তিজোটের বিবৃতি

বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলার ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছে মুক্তিজোট। ৩ ডিসেম্ব...

পেশাজীবী অধিকার পরিষদের ঝালকাঠি জেলা আহ্বায়ক কমিটি 

গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব মো. মামুন সিকদারকে আহ্বায়ক এবং...

কিভাবে শেখ হাসিনা স্বৈরশাসক হলেন

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম মাস্টার মাইন্ড মাহফুজ আলম এক সেমিনারে বল...

নবম-দশম শ্রেণির বইয়ের ৭ গদ্য, ৪ কবিতা বাদ যাচ্ছে

আগামী বছরের নবম-দশম শ্রেণির বাংলা সাহিত্যবিষয়ক পাঠ...

দেশের প্রশ্নে সব দল ঐক্যবদ্ধ থাকার ঘোষণা দিয়েছে: আসিফ নজরুল

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকে দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব,...

বাংলাদেশ সীমান্তে বিএসএফের অতিরিক্ত সদস্য মোতায়েন

ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার কর...

বাংলাদেশকে দুর্বল ভাবার কোনো অবকাশ নেই

আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল বলেছেন, বাংলাদেশ ব...

রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে পরামর্শ চেয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা

দেশে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে তিন বিষয়ে পরামর্শ চেয়েছেন প্রধা...

ভারতের পতাকা মাড়ানোর ‘ভাইরাল’ ছবিটি এআই দিয়ে তৈরি: রিউমার স্ক্যানার

ফ্যাক্ট চেক বা তথ্য যাচাই সংস্থা রিউমার স্ক্যানার সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল (ছড়ি...

লাইফস্টাইল
বিনোদন
খেলা