ক্রীড়া ডেস্ক: জাতীয় দলে তার ক্যারিয়ারটা একেবারেই ছোট। ২ ওয়ানডে এবং ১৩ টি-টোয়েন্টি। বলার মতো কিছু করতে পারেননি বলে বাদ পড়তে সময় লাগেনি। তবে দেশের জার্সি গায়ে জড়ানোর জেদ সব সময়ই ছিল তার। সেই জেদ থেকে ঘরোয়া ক্রিকেটে ধারাবাহিক পারফর্ম করে যাচ্ছেন। বলা হচ্ছে পেসার আবু হায়দার রনির কথা।
শনিবার ঢাকা লিগের ম্যাচে বাঁহাতি পেসার যা করলেন তা রীতিমত অবিশ্বাস্য। মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবে এই ক্রিকেটার শেষ কয়েক ম্যাচে ব্যাটিংয়ে দলকে জেতাচ্ছিলেন, অবদান রাখছিলেন। আজ ফিরলেন নিজের আসল ভূমিকায়, চেনা চেহারায়। গাজী টায়ার্স ক্রিকেট একাডেমির বিপক্ষে মাত্র ২০ রানে ৭ উইকেট নেন তিনি। তার দোর্দাণ্ডপ্রতাপে গাজী টায়ার্স গুটিয়ে যায় মাত্র ৪০ রানে।
বল হাতে বাকি ৩ উইকেট নেওয়া নাসুম আহমেদ দেন ২০ রান। ম্যাচ সেরা নির্বাচিত হওয়া রনি এবার ব্যাট-বলে সমান তালে পারফর্ম করছেন। ৯ ম্যাচে ৪.৩৬ ইকোনমি রেটে পেয়েছেন ২০ উইকেট। এছাড়া ব্যাটিংয়ে লোয়ার অর্ডারে ৭ ইনিংসে করেছেন ১৪৪ রান। যেখানে স্ট্রাইক রেট ছিল ১৩০.৯১।
নিজের প্রথম দুই ওভারেই ৪ উইকেট বাগিয়ে নেন রনি। এক পর্যায়ে স্রেফ ৩ রানে ৫ উইকেট পূর্ণ করেন। কিন্তু পরের ২ উইকেট পেতে ১৫ রান ব্যয় করায় ঢাকা লিগে সেরা বোলিংয়ের রেকর্ডটা তার করা হয়নি। পেসার মিশু ৪০ রানে ৮ উইকেট পেয়েছিলেন। রনি এক উইকেট কম পেয়ে রান দিয়েছেন ২০। আর ১ উইকেট পেলে আজ নিশ্চিতভাবেই ইতিহাসের পাতায় নতুন অধ্যায় যুক্ত করতেন।
ভালো বোলিংয়ে দলকে জেতানোর পর গণমাধ্যমে মুখোমুখি হয়ে নিজের কীর্তি নিয়ে খোলামেলা কথা বলেন এই পেসার, ‘খুবই ভালো লাগছে। এরকম বোলিং করতে কে না চায় বলেন। সবটাই সৃষ্টিকর্তার উপহার। আমি বেশ কয়েক বছর ধরেই লাগাতার কষ্ট করে যাচ্ছি। আজ পুরস্কার পেলাম। ৭ উইকেট নেওয়া সত্যিই বিশেষ কিছু। আমার ক্যারিয়ারের সেরা বোলিং। তবে এমনটা সব সময়, সব দিন হবে না। আমি পারফরম্যান্সে ধারাবাহিকতা চাই। এতোটুকুই। সেই চেষ্টাই করে যাচ্ছি।’
নিজের দল মোহামেডান এবার ভালো করছে। নয় ম্যাচে জয় পেয়েছে সাতটি। রাউন্ড রবিন লিগের বাকি ম্যাচগুলোতে ভালো করে সুপার লিগেও ভালো করতে চান রনি, ‘আমাদের দলটা এবার বেশ গোছানো এবং ভালো করছে। সবার একটা ভালো মিল হয়ে গেছে। প্রত্যেকে নিজেদের জায়গায় ভালো করছে। তাতে দলগত সাফল্যও আসছে।’
সামনের ম্যাচগুলোতে নিজের পারফরম্যান্সের ডালা মেলে জাতীয় দলে ফেরার ইচ্ছার কথাও বললেন রনি, ‘দিন শেষে সবাই চায় জাতীয় দলে খেলতে। জাতীয় দলকে প্রতিনিধিত্ব করতে। আমি জাতীয় দলে খেলেছি। আবার দেশকে প্রতিনিধিত্বের স্বপ্ন দেখি। এজন্য আবার জাতীয় দলে ফিরতে চাই। ঘরোয়া ক্রিকেটে পারফরম্যান্স ভালো হচ্ছে। অবশ্যই নির্বাচকরা আমাদের বিবেচনায় আনবেন। চেষ্টা করব নিজের পারফরম্যান্সের ধারাবাহিকতা ধরে স্বপ্ন পূরণ করার।’
এবি/এইচএন