লাইফস্টাইল ডেস্ক : মোবাইলে আসক্তি নেই এরকম লোকের সংখ্যা খুবই কম। দিনের অধিকাংশ সময় মোবাইল ফোন হাতে যতক্ষণ থাকে ততক্ষণ পর্যন্ত ঘাড় সামনের দিকে ঝুঁকে থাকে। টানা এভাবে ঘাড় সামনের দিকে হেলে থাকার কারণে বেঁকে থাকে মেরুদণ্ড।
আর এভাবে মেরুদণ্ড সংকুচিত থাকলে দেহের বিভিন্ন স্থানে ব্যথা হতে পারে। আর এই সিনড্রোমকে বলা হয় ‘টেক্সট নেক সিনড্রোম’। মেরুদণ্ডের জয়েন্টে বার বার এভাবে চাপ পড়তে থাকলে হার্নিয়েটেড ডিস্ক, স্নায়ুর উপর বিশেষ চাপ পড়ে।
সেখান থেকে পিঠের উপরের অংশে তীব্র ব্যথা, ক্র্যাম্প ধরা, কাঁধ শক্ত হয়ে যাওয়া এসব খুবই সাধারণ লক্ষণ। শুধু তাই নয় আমাদের সার্ভিকাল নার্ভের উপরেও চাপ পড়ে। এ কারণে চিনচিনে ব্যথা ঘাড় থেকে শুরু হয়ে হাত, আঙুল পর্যন্ত চলে আসে।
অনেক সময় এমনই ব্যথা হয় যে, মনে হয় ইলেকট্রিক শক লেগেছে। এই সমস্যা সার্ভিকাল রেডিকুলোপ্যাথি নামে পরিচিত। যারা একটানা কম্পিউডার, ল্যাপটপে কাজ করেন তাদের ক্ষেত্রেও হতে পারে এই সমস্যা।
ঘাড়ের পেশী শক্ত হয়ে যাওয়ার কারণেই ঘাড় একদিকে বেঁকে যায়। মোবাইল নিয়ে বসে থাকার সময় বা ল্যাপটপে কাজ করার সময় আমাদের বসার ভঙ্গিমা একেবারেই ঠিক থাকে না। ফলে ঘাড়ে চাপ পড়ে।
আর সেখান থেকে স্লিপড ডিস্কের ঝুঁকিও বাড়ে। ঘাড়ে ব্যথা হলে সেখান থেকে স্নায়ুর উপর চাপ পড়বেই। সঙ্গে হাতে ব্যথা, কোমরে ব্যথা, পা মুড়ে বসতে না পারা এগুলোও থাকে।
স্মার্টফোন ব্যবহারকারীদের মধ্যে এই সমস্যা দিনের পর দিন বেড়েই চলেছে। ফলে মাংসপেশীতে খিঁচুনি, ব্যথা এসব লেগে থাকে। হাড় দুর্বল হলে, মেরুদণ্ডে চাপ পড়লে প্রাথমিক ভাবে কাঁধ-ঘাড়ে ব্যথা হতে পারে।
তাই সব সময় চেষ্টা করতে হবে, একটানা কাজের মাঝে একটু বিরতি নিতে। টানা ফোন ব্যবহার করবেন না। দীর্ঘ সময়ের জন্য ঘাড় সামনের দিকে বেঁকিয়ে রাখবেন না।
ল্যাপটপ বা ডেস্কটপে কাজ করলে টানা ২৫ মিনিট কাজ করার পর ৫ মিনিটের ব্রেক নিতে হবে। একই সঙ্গে ঘাড় ঘোরানো, পেছনের দিকে ঘাড় নিয়ে যাওয়া, ঘাড়ের ব্যায়াম এসব করতে হবে।
দীর্ঘক্ষণ হাতে ভারী জিনিস ধরে রাখবেন না। এমনকি পিঠের ব্যাগও খুব বেশি ভারি করবেন না। আজকাল অনেক ফিটনেস ট্র্যাকার অ্যাপ আছে। প্রয়োজনে সেগুলো ব্যবহার করতে পারেন। তথ্যসূত্র: টিভি৯
এবি/এইচএন