নিজস্ব প্রতিবেদক : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অগ্নিসন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে জনগণকেই রুখে দাঁড়াতে হবে জানিয়ে বলেছেন, অগ্নিসন্ত্রাসীরা যে যেখানেই থাকুক, যারাই আগুন দেবে, জনগণের উপর অত্যাচার করবে, সাথে সাথে জনগণকেই প্রতিরোধ করতে এগিয়ে আসতে হবে। কারও উপর নির্ভর করলে চলবে না। জনগণকেই এগিয়ে আসতে হবে।
শুক্রবার (৩ নভেম্বর) বিকালে রাজধানীর বিসিআইসি মিলনায়তনে জেল হত্যা দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
সরকারপ্রধান বলেন, আজকে বিএনপির যেই অগ্নিসন্ত্রাস, তাদের যে বীভৎস চেহারা, তারা যে পিটিয়ে পিটিয়ে পুলিশ হত্যা করে। একটা নিরীহ পুলিশ চাকরি করে, তার কী অপরাধ ছিল। যে তাকে এতো অমানবিকভাবে হত্যা করল। এটা শুধু একবারই না ২০১৩ সালে একই ঘটনা তারা ঘটিয়েছে।
২০১৪ সালে নির্বাচন বানচাল করার জন্য একই ঘটনা ঘটিয়েছে, এরপর ২০১৫ তেও একই ঘটনা। হাজার হাজার মানুষকে হত্যা করা, আগুন পোড়ানো, গাড়ি, অফিস-আদালত, রেল-লঞ্চ কি বাদ দিয়েছে তারা, সবই আগুন দিয়ে পুড়িয়েছে। হাজার হাজার গাছ কেটে একটা ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছিল। কিন্তু বাংলাদেশের জনগণ যখনই প্রতিরোধ করেছে, তখনই তারা থেমে গিয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, ২০১৩ সালেও তারা নির্বাচন বানচাল করতে ৫২৫টি স্কুল পুড়িয়ে দিয়েছিল। যেখানে নির্বাচনী কেন্দ্র ছিল। তারপরও কিন্তু নির্বাচন থামাতে পারেনি। তারা জানে যে নির্বাচন করলে কোনোদিন ক্ষমতায় আসতে পারবে না। কারণ ২০০৮ সালের নির্বাচনে তারা ৩০০ আসনের মধ্যে মাত্র ৩০টি পেয়েছিল। আর এখন তাদের অপকর্মের জন্য মানুষ তো আরও তাদের প্রতি বিমুখ।
আর নির্বাচন কাকে নিয়ে করবে? নির্বাচন করলে তাদের নেতা কে? কাকে প্রধানমন্ত্রী করবে, কাকে দিয়ে মন্ত্রিসভা করবে? বিএনপির চেয়ারপারসন (খালেদা জিয়া) তো এতিমের অর্থ আত্মসাৎ মামলায় সাজাপ্রাপ্ত। আর তারেক রহমান তো অস্ত্র ও মানিলন্ডারিং মামলায় সাজাপ্রাপ্ত।
তিনি বলেন, সামনে নির্বাচন। বহু ষড়যন্ত্র হবে নির্বাচন বানচালের। সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থেকে ভোটের প্রস্তুতি নিতে হবে। যাকে মনোনয়ন দেওয়া হবে তার পক্ষেই কাজ করতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের কোনো মুরুব্বি নেই। আমাদের আছে বাংলাদেশের জনগণ। তাদের নিয়েই আমাদের এগোতে হবে।
এবি/এইচএন